হাদীসের আলোকে একজন আদর্শ স্বামী

is

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে”।  (সূরা : আর্-রূম: ২১)

হাদীসে এসেছে,

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের নিকট সর্বোত্তম ব্যক্তি”। (ইবন মাযাহ: হাদীস নং ১৯৭৭, তিরমিযী: হাদীস নং ৩৮৯৫।)

স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের অর্ধাঙ্গ। মানুষ যেমন তার অর্ধেক অঙ্গ নিয়ে পূর্ণ জীবনের সাধ পেতে পারে না, তেমনি একজন লোক একজন ভাল স্বামী বা স্ত্রী ছাড়াও পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। একে অপরকে যতটা বুঝতে পারবে তাদের জীবন ততটাই সুন্দর ও মধুময় হবে। একজন পুরুষের জীবনে যেমন অন্যতম আশা থাকে ভালো একজন স্ত্রী পাওয়া, তেমনিভাবে একজন মেয়েরও জীবনে সবচেয়ে বড় চাওয়া পাওয়া হলো ভালো একজন স্বামী ভাগ্যে জুটা। একমাত্র একজন আদর্শ স্বামীই পারে তার স্ত্রীর জীবনকে পূর্ণ করে দিতে। স্বামীর বাড়ির লোকজন যতই খারাপ হোক, যতই নিষ্ঠুর হোক, স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বুঝতে পারে, তাকে ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ করে দিতে পারে, তবে তাদের সংসার জীবন অনাবিল সুখে ভরপুর হয়ে যাবে। সেখানে পাওয়া যাবে জান্নাতের সন্ধান। এজন্য একজন ভাল স্বামী পাওয়াও কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র মানবজাতির জন্য উত্তম আদর্শ। তিনি একদিকে যেমন একজন নবী-রাসূল, সেনাপতি, রাষ্ট্রপতি, অন্যদিকে তিনি তার স্ত্রীদের নিকট সবচেয়ে ভালোবাসার পাত্র ছিলেন। একজন স্বামী হিসেবে আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যদি আপনার আদর্শ বানাতে পারেন তবে পৃথিবীর সব স্ত্রীরাই সুখী হবেন, আপনার সংসারটা কানায় কানায় ভরে যাবে ভালোবাসায়। আপনি পাবেন আপনার স্ত্রীর সীমাহীন ভালোবাসা, আপনার স্ত্রী আপনাকে নিয়ে সকলের কাছে গর্ব করবে। বলবে, এমনই একজন স্বামী তার জীবনে স্বপ্ন ছিল। স্বামী হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ট মহামানব। কি কি কাজ করলে আপনি একজন আদর্শ স্বামী হবেন এবং স্বামী হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেমন ছিলেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো: 
স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা:

আপনি বাইরের কাজ করে এসে দেখলেন আপনার স্ত্রীর রান্না বা অন্যান্য কাজে বিলম্ব হচ্ছে, এতে আপনি ভ্রূকুটি না করে তার কাজে সহযোগিতা করুন, দেখবেন আপনাকে সে কত ভালোবাসে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের ঘরের কাজে সহযোগিতা করতেন।ِ

আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে তার স্ত্রীদের সাথে কী কী করতেন তা জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, “তিনি স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন, আর যখন নামাযের সময় হতো তখন তিনি নামাযে যেতেন”। (বুখারী, হাদীস নং ৬০৩৯। )

সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতাপ দেখানোর মত লোক ছিলেন না। বরং নিজের কাজ নিজেই করতেন। এ হাদীস দ্বারা তিনি  উম্মতকে এ শিক্ষা দিয়েছেন যে, স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, তাদের সাথে ঔদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।
বাড়িতে নিজের কাজ নিজেই করা:

আপনার স্ত্রী বাড়িতে সন্তান সন্ততি লালন পালন, সাংসারিক কাজ ইত্যাদি ঝামেলায় সব সময় ব্যস্ত থাকেন। ফলে অনেক সময় আপনাকে সময় দিতে পারেন না। তাতে আপনি তার উপর রাগ না করে আপনার ছোট খাট কাজ আপনি নিজেই সেরে ফেলতে পারেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাই করতেন।

এক লোক আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে জিজ্ঞেস করলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কি কাজ করতেন? উত্তরে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, “হ্যাঁ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের কাপড় নিজে সেলাই করতেন, জুতা মেরামত করতেন এবং পুরুষরা ঘরে যা করে তিনি তা করতেন”।( মুসনাদে আহমদ: হাদীস নং ২৪৭৪৯,)   
স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান দেওয়া ও পারিবারিক কাজে তার পরামর্শ নেওয়া: 

আপনার পরিবারের সব ছোট বড় সিদ্ধান্তে আপনার স্ত্রীর মতামত গ্রহণ করুন। তাকে সম্মান দেখান, দেখবেন সেও আপনাকে অনেক সম্মান করবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের নানা সমস্যা তাঁর স্ত্রীদের কাছে জানাতেন। তাঁরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পরামর্শ দিতেন। যেমন: হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফিরদের সাথে চুক্তি শেষ করে সাহাবাদেরকে হাদির পশু যবাই করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁরা রাসূলের হিকমত বুঝতে না পেরে যবাই করতে বিলম্ব করেন, এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হয়ে উম্মে সালামাহ্‌ রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট প্রবেশ ঘটনা জানান। তিনি এ সমস্যা সমাধানে সুন্দর মতামত দেন।

“(এ ঘটনাটি উল্লেখ করে) উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন, আমি এর জন্য (অর্থাৎ ধৈর্যহীনতার কাফফারা হিসাবে) অনেক নেক আমল করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধিপত্র লেখা শেষ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা উঠ এবং যবাই কর ও মাথা কামিয়ে ফেল। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তিনবার বলার পরও কেউ উঠলেন না। তাদের কাউকে উঠতে না দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে এসে লোকদের এ আচরণের কথা বলেন। উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, হে আল্লাহর নবী, আপনি যদি তাই চান, তাহলে আপনি বাইরে যান ও তাদের সাথে কোনো কথা না বলে আপনার উট আপনি নাহর (যবেহ) করুন এবং ক্ষুরকার ডেকে মাথা মুড়িয়ে নিন। সে অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে গেলেন এবং কারো সাথে কোনো কথা না বলে নিজের পশু যবাই করলেন এবং ক্ষুরকার ডেকে মাথা মুড়িয়ে নিলেন। তা দেকে সাহাবীগণ উঠে দাঁড়ালেন ও নিজ নিজ পশু কুরবানী দিলেন এবং একে অপরের মাথা কামিয়ে দিলেন। অবস্থা এমন হলো যে, ভীড়ের কারণে একে অপরের উপর পড়তে লাগলেন”। (বুখারী, হাদীস নং ৫২২৮, মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩৯।)  
স্ত্রী ও পরিবার পরিজনের সাথে বদান্যতা ও সুন্দর আচরণ:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রী ও পরিবার পরিজনের সাথে সুন্দর আচরণকারী ছিলেন, তাদের সাথে কোমল ভাষায় কথা বলতেন, মাঝে মাঝে হাসি ঠাট্টা করতেন, তাদের সাথে ভালোবাসা ও বদান্যতার সাথে আচরণ করতেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে পূর্ণাংগ ঈমানদার সেই ব্যক্তি যে উত্তম চরিত্রের ও তার পরিবারের সাথে সদব্যবহার করে”। (তিরমিযী)

ইবনে সা‘দ রহ. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণনা করেন, তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘরে একান্তে অবস্থানকালীন সময়ের স্বভাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি বলেনঃ “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সবচেয়ে কোমল ব্যক্তি, সদা সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, তিনি কখনও তার সঙ্গীদের সামনে (তার শিষ্টাচারিতা ও পরিপূর্ণ সম্মানবোধের কারনে) পা প্রসারিত করে বসতেন না”।
স্ত্রীর উপর অযথা রাগ না করা, তারা রেগে গেলে ধৈর্য্য ধারণ করা:

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “আমি জানি কখন তুমি আমার প্রতি খুশি থাক এবং কখন রাগান্বিত হও।” আমি বললাম, কি করে আপনি তা বুঝতে সক্ষম হন? তিনি বললেন, তুমি প্রসন্ন থাকলে বল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রব-এর কসম! কিন্তু তুমি আমার প্রতি নারাজ থাকলে বল, ইবরাহীম আলাইহিস সালামের রব-এর কসম! শুনে আমি বললাম, আপনি ঠিকই বলেছেন। আল্লাহর্ কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে ক্ষেত্রে শুধু আপনার নাম মুবারক উচ্চারণ করা থেকেই বিরত থাকি। (বুখারী, হাদীস নং ৫২২৮, মুসলিম, হাদীস নং ২৪৩৯।)  
প্রেম ও রোমান্টিকতা:  

আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সবসময় ভালোবাসার কথা বলবেন, তাকে রোমান্টিকতা দিয়ে ভরপুর করে রাখবেন। আপনার স্ত্রী হয়ত ঘুরতে পছন্দ করেন, তাকে মাঝে মাঝে দূরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যান, হারিয়ে যান কোনো অজানা প্রান্তে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদেরকে অনেক সফরে নিয়ে যেতেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হায়েজ অবস্থায় পানি পান করে সে পাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দিতাম। আমার মুখ লাগানো স্থানে তিনি তাঁর মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আমি হায়েজ অবস্থায় হাড়ের টুকরা চুষে তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দিতাম। তিনি আমার মুখ লাগানো স্থানে তার মুখ লাগাতেন। (ইবন মাযাহ: হাদীস নং ১৯৭৭, তিরমিযী: হাদীস নং ৩৮৯৫।)

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “একবার আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এক অভিযানে বের হলাম, তখন আমি অল্প বয়সী ছিলাম, শরীর তেমন মোটা ছিল না। তিনি তার সাথীদেরকে বললেন, তোমরা আগে চল, ফলে তারা এগিয়ে গেল। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, এসো আমরা দৌঁড় প্রতিযোগিতা দেই, প্রতিযোগিতায় আমি এগিয়ে গেলাম। এরপরে আমার শরীরে মেদ বেড়ে গেল, একটু মোটা হলাম। একদা এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার সাথীদেরকে বললেন, তোমরা আগে চল, ফলে তারা এগিয়ে গেল। অতঃপর আমাকে বললেন, এসো আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা দেই, প্রতিযোগিতায় তিনি এবার এগিয়ে গেলেন। তিনি হেসে হেসে বললেন, এটা তোমার পূর্বের প্রতিযোগিতার উত্তর (অর্থাৎ তুমি আগে প্রথম হয়েছিলে, এবার আমি প্রথম হলাম, তাই মন খারাপ করোনা)।(বুখারী, হাদীস নং ৬০৩৯।)

ইমাম তিরমিযী তার সুনান কিতাবের অধ্যায়ের শিরোনাম রচনা করেন: ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাত্রিকালীন খোশগল্প গুজব সম্পর্কে যা বর্ণিত।’

কাযী ‘ইয়াদ রহ. বলেন, বর্ণিত আছে যে, আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “তোমরা এ অন্তরকে কিছুক্ষন পরপর শান্তনা দাও, কেননা তা লোহার প্রতিধধনির মত আওয়াজ করতে থাকে”।

তিনি আরো বলেন, “মানুষের অন্তরকে যখন তার অপছন্দ কাজ করতে বলা হয় তখন সে অন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ সে আর কাজ করতে পারে না”।

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যখন তোমরা ফিকহের মাসলা মাসায়েল শুনতে শুনতে একটু বিরক্তবোধ করবে তখন তোমরা কবিতা ও আরবদের কিচ্ছা কাহিনী শুনো”।
স্ত্রীকে সদুপদেশ দেওয়া ও বুঝানো:

আপনার পরিবারের কে কি রকম তা আপনি আপনার স্ত্রীকে আগেই জানিয়ে দিন। তাকে সবার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিলে সে অনুযায়ী তাদের সাথে মিলে মিশে চলতে সহজ হবে। মাঝে মধ্যে আপনি তাকে বিভিন্ন সদুপদেশ দেন, তাকে আপনার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বুঝান। এতে সে আপনাকে আরো বেশী ভালোবাসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নারীদেরকে সদুপদেশ দিতেন। বুখারী ও মুসলিমে এসেছে,

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নারীদের ব্যাপারে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ গ্রহণ করবে। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্য থেকে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে আর যদি ছেড়ে দাও, তাহলে সব সময় তা বাকাই থেকে যাবে। কাজেই নারীদের সাথে কল্যাণ করার উপদেশ গ্রহণ কর। (বুখারী: হাদীস নং ৩৩১, মুসলিম: হাদীস নং ১৪৬৮।)

 

Related Post