যে সকল শস্য জমিতে উৎপন্ন হয় তা যদি মানুষের সাধারণ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয় এবং তা ওযন ও গুদামজাত করা যায়, সে সকল শস্যেই কেবল যাকাত ফরয। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ إِنَّمَا سَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ فِيْ هَذِهِ الأَرْبَعَةِ الْحِنْطَةِ وَالشَّعِيْرِ وَالزَّبِيْبِ وَالتَّمْرِ-
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গম, যব, কিসমিস এবং খেজুর এই চারটি শস্যের যাকাত প্রবর্তন করেছেন।[সিলসিলা ছহীহা হা/৮৭৯।
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ عِنْدَنَا كِتَابُ مُعَاذٍ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ إِنَّمَا أَخَذَ الصَّدَقَةَ مِنَ الْحِنْطَةِ وَالشَّعِيْرِ وَالزَّبِيْبِ وَالتَّمْرِ-
মূসা ইবনু ত্বালহা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কর্তৃক মু‘আয (রাঃ)-এর নিকট প্রেরিত পত্র আমাদের নিকট ছিল। যাতে তিনি গম, যব, কিসমিস ও খেজুরের যাকাত গ্রহণ করেছেন।[ মুসনাদে আহমাদ হা/২২০৪১]
উল্লিখিত হাদীছদ্বয়ে বর্ণিত চারটি শস্যের যাকাতের কথা বলা হ’লেও এই চারটিকেই নির্দিষ্ট করা হয়নি। বরং ওযন ও গুদামজাত সম্ভব সকল শস্যই এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন ধান, ভুট্টা ইত্যাদি।
অতএব গুদামজাত অসম্ভব এমন শস্যের যাকাত ফরয নয়। যেমন শাক-সবজি বা কাঁচা মালের কোন যাকাত (ওশর) নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, لَيْسَ فِى الْخَضْرَوَاتِ زَكَاةٌ ‘শাক-সব্জিতে কোন যাকাত (ওশর) নেই’।[ছহীহ জামেউছ ছগীর হা/৫৪১১, আলবানী, সনদ ছহীহ।
] উল্লেখ্য যে, এ জাতীয় সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ এক বছর অতিক্রম করলে এবং নিছাব পরিমাণ হ’লে শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
لاَ زَكَاةَ فِيْ مَالٍ حَتَّى يَحُوْلَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ ‘এক বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মালের যাকাত নেই’।[ তিরমিযী হা/৬৩২; ইবনু মাজাহ হা/১৭৯২;]
কখন শস্যের যাকাত ফরয?
শস্য যখন পরিপক্ক হবে এবং তা কর্তন করা হবে তখন শস্যের যাকাত আদায় করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَآتُوْا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ ‘ফসল তুলবার দিনে তার হক (যাকাত) প্রদান করবে’ (আন‘আম ৬/১৪১)। উল্লেখ্য যে, শস্য কর্তন করে তা সংরক্ষণের যথাস্থানে রাখার পূর্বে নষ্ট বা হারিয়ে গেলে তার উপর যাকাত ফরয নয়। তবে তা সংরক্ষণের যথাস্থানে রাখার পরে মালিকের অলসতা বা অবহেলার কারণে নষ্ট হ’লে বা হারিয়ে গেলে তার উপর যাকাত ফরয। আর তা সংরক্ষণের যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরে নষ্ট বা হারিয়ে গেলে তার উপর যাকাত ফরয নয়।[ শারহুল মুমতে‘ ৬/৮২ পৃঃ।
শস্য উৎপাদনের ব্যয় বাদ দিয়ে যাকাত ফরয
উৎপাদনকারী শস্য উৎপাদনের কাজে ব্যয়কৃত যাবতীয় খরচ হিসাব করে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট শস্যের যাকাত আদায় করবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,
يَقْضِيْ مَا أَنْفَقَ عَلَى الثَّمَرَةِ، ثُمَّ يُزَكِّى مَا بَقِىَ-
‘প্রথমত ফল উৎপাদনে যা ব্যয় করেছে তা পরিশোধ করবে, অতঃপর অবশিষ্টাংশের যাকাত আদায় করবে’।[ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী হা/৭৮৫৮।
বাৎসরিক লিজ নেয়া জমি থেকে উৎপাদিত শস্যের যাকাত
লীজের টাকা বাদ দিয়ে বাকী শস্যের যাকাত আদায় করতে হবে, না-কি উৎপাদিত সমুদয় শস্য হিসাব করে যাকাত দিতে হবে? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে গ্রহণীয় মত হ’ল, লীজের টাকা সহ উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বাকী শস্য নিছাব পরিমাণ হ’লে তার ওশর আদায় করবে।[ ইসলামের যাকাত বিধান, ১/৩৫৯ পৃঃ।
মধুর যাকাতের হুকুম
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যেসব নে‘মত দান করেছেন তার মধ্যে মধু অন্যতম। তিনি বলেন,
وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوْتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُوْنَ- ثُمَّ كُلِيْ مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِيْ سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا يَخْرُجُ مِنْ بُطُوْنِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيْهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَةً لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُوْنَ-
‘আর তোমার রব মৌমাছিকে ইংগিতে জানিয়েছেন যে, তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চল। তার পেট হ’তে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে’ (নাহল ১৬/৬৮-৬৯)।
এক্ষণে প্রশ্ন হ’ল, মানুষের উপর আললাহ তা‘আলার দানকৃত উপরোক্ত নে‘মত মধুর যাকাত আদায় করতে হবে কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে ছহীহ মত হ’ল, মধুর যাকাত আদায় করতে হবে না। কেননা তা প্রথমতঃ কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দলীল দ্বারা সাব্যস্ত নয়। দ্বিতীয়তঃ তা এক প্রকার প্রাণীর পেট থেকে বের হয় যা গাভীর দুধের মত। সুতরাং দুধের যেমন যাকাত ফরয নয়, তেমনি মধুর যাকাত ফরয নয়।[ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৫০-৫২ পৃঃ।
ব্যবসায়িক মালের যাকাত
আল্লাহ তা‘আলা মুসলমানদের জন্য হালাল বস্ত্তর ব্যবসা হালাল করেছেন এই শর্তে যে, তারা তাদের ব্যবসায় ইসলামী বিধি-বিধান লংঘন করবে না এবং আমানতদারী ও সততা সর্বতোভাবে রক্ষা করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَأَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ‘আললাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সূদকে হারাম করেছেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। আল্লাহ তা‘আলার হালালকৃত ব্যবসায় যে সকল মাল ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তাতে যাকাত ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভূমি হ’তে তোমাদের জন্য উৎপাদন করে দেই তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর এবং তার নিকৃষ্ট বস্ত্ত ব্যয় করার সংকল্প কর না; অথচ তোমরা তা গ্রহণ করবে না, যদি না তোমরা চোখ বন্ধ করে থাক। আর জেনে রেখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত’ (বাক্বারাহ ২/২৬৭)।
অত্র আয়াতে বর্ণিত مَا كَسَبْتُمْ অর্থাৎ ‘তোমরা যা উপার্জন কর’ দ্বারা ব্যবসায়িক মালকে বুঝানো হয়েছে। ইমাম বুখারী (রহঃ) باب صَدَقَةِ الْكَسْبِ وَالتِّجَارَةِ তথা ‘উপার্জিত ও ব্যবসায়িক মালের যাকাত’ শিরোনামে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন।
আল্লাহ অন্যত্র বলেন, وَفِيْ أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُوْمِ ‘আর তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক’ (যারিয়াত ৫১/১৯)। তিনি অন্যত্র বলেন, خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيْهِمْ بِهَا ‘তাদের সম্পদ হ’তে ছাদাক্বা গ্রহণ করবে। এর দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশোধিত করবে’ (তওবা ৯/১০৩)। উল্লিখিত আয়াত সমূহে আল্লাহ তা‘আলা সম্পদের যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবসায়িক মাল তা থেকে আলাদা নয়।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামানে পাঠালেন এবং বললেন, তারা যদি দিন-রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতকে মেনে নেয় তাহ’লে তাদেরকে জানিয়ে দাও যে,
أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِيْ أَمْوَالِهِمْ، تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ-
‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে আর দরিদ্রের মাঝে বণ্টন করা হবে’।[বুখারী হা/১৩৯৫, ‘যাকাত’ অধ্যায়, ] আর ব্যবসায়িক সম্পদ হাদীছে উল্লিখিত মাল থেকে আলাদা নয়। অতএব তার উপর যাকাত ফরয।
ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, لَيْسَ فِيْ الْعُرُوْضِ زَكَاةٌ إِلاَّ مَا كَانَ لِلتِّجَارَةِ ‘সম্পদের যাকাত নেই, কেবল ব্যবসায়িক সম্পদ ব্যতীত।[ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী হা/৭৩৯৪;]
ওমর ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) তাঁর কর্মচারী রুযাইক ইবনু হুকাইমকে লিখে পাঠিয়েছিলেন যে,
أنِ انظُرْ مَنْ مَرَّ بِكَ مِنَ المُسْلِمِيْنَ فَخُذْ مِمَّا ظَهَرَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ مِنْ التِّجَارَاتِ من كلِّ أربعيْنَ دِيْنَاراً دِيْنَاراً-
‘তোমার সামনে যে মুসলমানই আসবে তার ব্যবসায় ব্যবহৃত সব প্রকাশমান সম্পদ থেকে প্রতি চল্লিশ দীনারে এক দীনার যাকাত গ্রহণ কর’।[ মুওয়াত্তা মালেক, হা/৮৮০।
ব্যবসায়িক মালের যাকাত ফরয হওয়ার শর্ত
(ক) যাকাত ফরয এমন দ্রব্য না হওয়া : মূলগত দিক থেকে যে দ্রব্যের যাকাত ফরয এমন বস্ত্ত না হওয়া। কেননা একই দ্রব্যের উভয় দিক থেকে বা দু’বার যাকাত আদায় করা সম্ভব নয়। যেমন- স্বর্ণ, রৌপ্য, গবাদী পশু ইত্যাদি নিছাব পরিমাণ হ’লে তার মালিকের উপর যাকাত ফরয। সুতরাং উল্লিখিত সম্পদ ব্যবসায়িক মালের অন্তর্ভুক্ত হ’লেও তার যাকাত মূলের দিক থেকেই আদায় হবে। ব্যবসায়িক দ্রব্য হিসাবে নয়।
(খ) ব্যবসায়িক পণ্যের মূল্য নিছাব পরিমাণ হওয়া : ব্যবসায়িক পণ্য নিছাব পরিমাণ হ’তে হবে। আর তা হ’ল, ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ অথবা ৫৯৫ গ্রাম রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া।
(গ) পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকা : নিছাব পরিমাণ ব্যবসায়িক পণ্য পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকলেই কেবল যাকাত ফরয। অন্যথা যাকাত ফরয নয়।
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক পণ্য-সামগ্রীর যাকাত
মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী যা দোকানে গচ্ছিত রেখে প্রতিনিয়ত ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, তার যাকাত আদায় করা ফরয। আর এ সকল পণ্যের যাকাত আদায় করার জন্য মালিক তার দোকানে গচ্ছিত পণ্যের বর্তমান বাজারমূল্য হিসাব করে শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত দিবেন। উল্লেখ্য যে, বিক্রয় করা হবে না এমন কোন জিনিস দোকানে থাকলে তার যাকাত আদায় করতে হবে না। যেমন ফ্রিজ যা পণ্যকে ঠান্ডা রাখার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে দোকানের আসবাবপত্র যা বিক্রয় করা হয় না, তার যাকাত আদায় করতে হবে না।[ ছহীহ ফিকহুস সুন্নাহ ২/৫৭ পৃঃ।
জমির যাকাত
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যতগুলো সম্পদ দান করেছেন তার মধ্যে জমি অতি মূল্যবান একটি সম্পদ। এই মূল্যবান সম্পদের কখন ও কিভাবে যাকাত আদায় করতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হ’ল :
(ক) জমি যদি বসবাস অথবা চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত হয় তাহ’লে সেই জমির কোন যাকাত আদায় করতে হবে না। বরং উক্ত জমি থেকে যে শস্য উৎপাদিত হবে তা নিছাব পরিমাণ হ’লে তার ওশর বা যাকাত আদায় করতে হবে।
(খ) উক্ত জমি ভাড়ায় খাটানো হ’লে অথবা ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিল্ডিং তৈরী করা হ’লে সেই জমির কোন যাকাত আদায় করতে হবে না। বরং তা থেকে অর্জিত নিছাব পরিমাণ অর্থ এক বছর অতিক্রম করলে শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত দিতে হবে।
(গ) ব্যবসার উদ্দেশ্যে জমি ক্রয় করলে (সরাসরি উক্ত জমি বিক্রয় করে লাভ করার উদ্দেশ্য থাকলে) এবং তা এক বছর অতিক্রম করলে সেই জমির বর্তমান মূল্য হিসাব করে শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, উক্ত জমির বছর হিসাব করা হবে ঐ সময় থেকে, যখন থেকে তার নিকট জমি ক্রয় করার টাকা গচ্ছিত হয়েছে। এ সময় থেকে এক বছর অতিক্রম করলে উক্ত জমির বর্তমান মূল্যের শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত প্রদান করবে। আর এক বছর অতিক্রম হওয়ার পূর্বেই জমি বিক্রয় করলে বিক্রয়লব্ধ টাকা নিছাব পরিমাণ হ’লে তা থেকে যাকাত আদায় করবে।
অতএব মূল কথা হ’ল, ব্যবসার উদ্দেশ্যে জমি ক্রয়-বিক্রয় করলেই কেবল সেই জমির বর্তমান মূল্য হিসাব করে শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত দিতে হবে। আর ব্যবসার উদ্দেশ্য না থাকলে সেই জমির কোন যাকাত আদায় করতে হবে না। বরং তা থেকে অর্জিত অর্থ নিছাব পরিমাণ হ’লে তার শতকরা ২.৫০ টাকা হারে যাকাত দিতে হবে।[ শরহুল মুমতে‘ ৬/১৪২-১৪৩ পৃঃ।