পূর্বের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব: ৫
ইসলামী রাজনীতির গুরুত্ব:
প্রচলিত ধারণায় ইসলামকে যেরূপ ভাবা হয়, আসলে ইসলাম সে ধরণের কোন ধর্ম নয়। ইসলাম ধর্মকে যারা নিছক কতিপয় আচার-অনুষ্ঠান, ভাবাবেগ ও কিছু বিশ্বাসের সমষ্টি মনে করে থাকেন, প্রকৃত পক্ষে ইসলাম তেমনটি নয়। বরং এমন ধারণাই তাদেরকে মহা বিপদগামী করেছে। ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সমস্ত কর্মপরিসরে এর ব্যাপকতা বিরাজমান। সমগ্র মানবতার আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকসহ সকল ক্ষেত্রেই এর রয়েছে নিখুঁত নীতিমালা। যে নীতিমালার মূল হচ্ছে আল কুরআন ও নবী (সা.) এর আদর্শ। কুরআন এই শিক্ষা প্রদান করে যে, ইসলাম শুধু প্রচারের জন্য নয়, বরং অনুশীলন করে তা বাস্তবায়নের জন্য। সঠিকভাবে একে উপস্থাপন করে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। রাজনীতির সংজ্ঞা যাই হোক না কেন, আল্লাহর জন্য রাজনীতি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলাম ও রাজনীতি মিলে হয় এক অবিভাজ্য সত্তা। মুসলমানরা রাজনীতিকে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্নভাবে গ্রহণ করতে পারে না। কারণ রাষ্ট্রের প্রকৃতি, সরকারের প্রকারভেদ, শাসকের ক্ষমতার সীমবদ্ধতা ও শাসিতের অধিকার ইত্যাদি সবকিছুই ইসলামী শরীয়তের নীতিমালার আওতাধীন থাকার কথা বলা হয়েছে। কেননা, এর মাধ্যমেই রচিত হবে মানুষের পরকালীন সীমাহীন জীবনের ফয়সালা। এ পৃথিবীর কোন কিছুই লাগামহীন করার অধিকার আল্লাহ তায়ালা কাউকেই দেননি। আল্লাহর বিধান পূর্ণাঙ্গভাবেই মানতে হবে। সেক্ষেত্রে পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উভয় জীবনই সাজাতে হবে ইসলামের আলোকে। উভয়েরই অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে ইসলামে। কাজেই দুনিয়াবী জীবনের সাথে আধ্যাত্মিক জীবনের সমন্বয় থাকতে হবে। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি অর্জন করার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। পার্থিব জীবনের কর্মকাণ্ডের ভিতর দিয়েই আধ্যাত্মিক জীবন অর্জন করা সম্ভব। আল্লাহ সুবহানাহু অতায়ালা ইসলামকে সেভাবেই সাজিয়েছেন। তাইতো ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। যার বাস্তব সমন্বয় ও সম্পৃক্তিকরণ মহানবী (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদার জীবনে মূর্তভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। কাজেই ইসলামী জীবনের যে কোন বিভাগকে বুঝতে হলে তার মূল স্তম্ভকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করতে হবে। ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকলে বর্তমান সমস্যা জর্জরিত অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ পাওয়া যাবেনা। শুধু আবেগ দিয়ে ইসলামকে বুঝা যায় না, বাস্তব জ্ঞানের সাথে তার সঠিক প্রয়োগ থাকতে হয়। সঠিক ইসলাম বাস্তবে রূপ দেয়ার ক্ষমতা কুরআনুল কারীমে সূরা হজ্জের ৪১ আয়াতে মুসলিম রাষ্ট্রনায়কদের হাতে ন্যাস্ত করা হয়েছে। তারা যদি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে জাতির বিপর্যয় অবশ্যসম্ভাবী। এ অবস্থায় ইসলামকে যে যার মত করে ব্যাখ্যা করে পরিবেশ আরো ঘোলাটে করবে। আর এ সুযোগে ইসলামের দুশমনেরা ইসলামকে আরো বিকৃতভাবে তাদের শক্তির বলে মুসলমানদের নিকট উপস্থাপন করবে। বিকৃত ইসলাম মেনে চলতে তারা বাধ্য করবে। তাদের কথা যারা মানবে তাদেরকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। অপরদিকে সঠিক ধারার ইসলামের ধারক বাহকদের দুর্দিন নেমে আসবে। এ পরিস্থিতিতে যে যার মত করে ইসলামকে সাজিয়ে নিয়ে সবাই সঠিক ইসলাম মানছে বলে দাবী করবে। ফলে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে পরস্পর পরস্পরে কাঁদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নেতৃবৃন্দ প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ইসলামের দুশমনদের সহযোগিতায় নিজের জাতিকে সর্বনাশ করবে। যার বাস্তবতা আজকের মুসলিম বিশ্ব। সঠিক ইসলামের পথে মুসলমানদের ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্রই যদি ইসলাম প্রতিরোধে বিজাতীয়দের সহযোগিতা নেয়, তাহলে ময়দানে যে যার মত করে যতই ইসলামের খেদমত করুক না কেন তাতে কাঙ্খিত ফল কোন দিন আসবে না। এ পরিস্থিতিতে ওয়াজ-নসিহত অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায় পরিণত হয়ে যাবে। আর সঠিক ইসলামী পন্থীদেরকে হত্যা করে বিজাতি বন্ধুদের খুশী করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যস্ত থাকবে। তখন তাওহীদের পতাকা সমুন্নততো হবেই না বরং আরো অবদমিত হতে থাকবে। যেটা আল্লাহ তায়ালা মোটেই সহ্য করবেন না। আল্লাহ তায়ালার রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারী, “(অমান্যকারীদেরকে) বলে দাও-আমিতো প্রকাশ্য সতর্ককারী। এটা ঠিক তেমনি ধরণের সতর্কীকরণ যেমন সেই বিভক্তকারীদের দিকে আমি পাঠিয়েছিলাম। যারা নিজেদের কুরআনকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলে। তোমার রবের কসম, আমি অবশ্যই তাদের সবাইকে জিজ্ঞেস করবো। তোমরা কি কাজে নিয়োজিত ছিলে?” সূরা হিজর ৮৯-৯৩।
যারা আজকে নানা ফতোয়া দিয়ে ইসলামী রাজনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমে মোটেই আগ্রহী ও তৎপর নয়। তারা আল্লাহর নিকট কি জবাব দিবেন? নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নিজেকে সঠিক ইসলামের ধারক-বাহক বলে দাবী করা যতটা সহজ, আল্লাহর আদালতে জবাব দেয়াটা এত সহজ হবে না।
আজ ইসলামী রাজনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাতেলের রোষানলে থাকার পরেও যাদের কোন চৈতন্যদয় হচ্ছে না, তারা আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন? বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন: বনী ইসলাঈলের রাজনীতি পরিচালনা তাদের নবীরাই করতেন। একজনের মৃত্যুর পর অন্যজন সে দায়িত্ব অব্যাহত রাখতেন। কিন্তু আমার পরে আর কোন নবী নেই। আমার পরে এ দায়িত্ব পরিচালনা করবে খলিফাগণ। সাহাবায়েকেরাম প্রশ্ন করলেন তখন আমাদের করণীয় কি হবে? তিনি বললেন, তোমরা পর্যায়ক্রমে তাদের নিকট বায়াত পূর্ণ করবে। তাদের প্রাপ্য হক আদায় করবে। আল্লাহর নিকট ঐ জিনিষের প্রার্থনা করবে যা তোমাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। আর তাদের দায়িত্বের জবাব আল্লাহ কিয়ামতের ময়দানে নিবেন।” এ হাদীসটি ইমাম নববী রচিত শরহে রিয়াদুস সালেহীন কিতাবের দ্বিতীয় খণ্ডের ৬৬১ নং হাদীস। এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী, নাসির উদ্দিন আলবানী, সালেহ উসাইমীন ও বিন বায (রা.) পরিস্কার বলেছেন, যারা ইসলাম ও রাজনীতিকে আলাদা করে দেখে তারা হয় জাহেল, না হয় পথ ভ্রষ্ট। অর্থাৎ এ বিষয় যাদের জ্ঞান নেই তারা জাহেল। আর যাদের কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও স্বীকার করেনা বা স্বীকার করলেও নিজেরা ইসলামী রাজনীতি থেকে বিরত থাকে এবং অন্যকেও নিরুৎসাহিত করে তারাই পথ ভ্রষ্ট।
জীবনের সার্থকতা কোথায়? নারী-বাড়ী, গাড়ী, ধন সম্পদ, জ্ঞান-গরীমা, বড় বড় ডিগ্রী ইত্যাদির মধ্যে, না কি এর বাইরে আরো কিছু আছে? ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। আর সে মৃত্যু হতে হবে আল্লাহ তায়ালার পূর্ণাঙ্গ আনুগত্যের অধীন। তাহলেই তার এই মৃত্যু পরকালীন চিরস্থায়ী জীবনে সুখ ও শান্তি নিয়ে আসবে। পক্ষান্তরে সে মৃত্যু যদি হয় আল্লাহর আনুগত্যহীন বা আংশিক আনুগত্য? তাহলে জীবনের পরিণাম হবে ইহকালীন লাঞ্ছনা-অপমান, আর পরকালীন শাস্তি জাহান্নাম।
প্রতিটি মুসলমানেরই আনুগত্যহীন জীবনের চেয়ে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ আনুগত্যের মৃত্যুই শ্রেয়। তাওহীদের অনিবার্য দাবীও এটি। সাহাবাগণ রাসূল (সা).-এর নিকট থেকে এই বিপ্লবী শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন বলেই তারা বিশ্বমানবকে যাবতীয় অন্ধকার থেকে মুক্ত করে দ্বীনের উজ্জ্বল সূর্যের উদয় সম্ভব করেছিলেন। সক্ষম হয়েছিলেন বস্তুবাদী শেরেকী সভ্যতার পতন ঘটিয়ে কুরআনী সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে। তাঁরা মৃত্যুকে ভয় করতেন না। আল্লাহর জন্য মৃত্যুর তুলনায় আল্লাহর নাফরমানী জীবন তারা ঘৃণা করতেন। ইহাই ছিল তাওহীদি শিক্ষার ফসল। আজ তাওহীদ পন্থীদের ফসল কোথায়?
আজ মুসলিম মিল্লাত কেন পথ হারা হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। কেন তারা এত রক্তপাতের পরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা। কারণ, কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাদের এখনও কোন সম্মিলিত তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গা বাচাঁনো ইসলাম পালনে তারা তৎপর, যার কোন মূল্য আল্লাহর কাছে নেই। জান্নাতের বিনিময় আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবন ক্রয় করেছেন। কাজেই বিক্রিত জীবনের মালিকানা ধরে রেখে স্বেচ্ছাচারিতা প্রকৃত পক্ষে জীবন নয়, বরং এটাই মরণ। আল্লাহ তায়ালার বাণী, “হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দাও, যখন রাসূল তোমাদের এমন জিনিসের দিকে ডাকেন যা জীবন দান করবে। (সূরা আনফাল: ২৪)
বাস্তব উদাহরণ সাহাবায়েকেরাম আজমায়ীন। তাদের জীবন ছিল দ্বীন কায়েমের পথে ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত। আর এটাকেই তারা মনে করতেন সফলতা। যার ফলশ্রুতিতে তাদেরকে কোন শক্তিই প্রতিরোধ করতে পারেনি। তারা যে বিষয়টিকে মনে করতেন সফলতা আজকে আমরা সেটাকে মনে করছি মহাব্যর্থতা। তাঁরা অনুসরণ করেছেন নবী-রাসূলদেরকে। আর আমরা অনুসরণ করছি নফসের ও পার্থিব স্বার্থপরতাকে। তাইতো ইসলামী রাজনীতি আমাদের নিকট ঐচ্ছিক বিষয় মনে হয়। এ পথে কাঁটা না হয়ে যদি ফুল বিছানো থাকতো তাহলে আজকে যারা ফাতওয়া দিচ্ছেন তারাই সবার আগে ময়দান ঝাপিয়ে পড়তো।
সূরা মায়েদার ৪৪-৫০ পর্যন্ত সাতটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুছা, ঈসা ও মুহাম্মাদ (সা.)-এর শরীয়ত নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনটি শরীয়তের যৌথ বিধান আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুযায়ী ফায়সালা ও মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।
যা বাস্তবায়নের জন্য মুছা (আ.) ও তৎপরবর্তী নবীগণকে নিজ নিজ সময়ের রাজা-বাদশাদের মোকাবেলা করতে জীবন বাজী রেখে সর্বাত্মক সংগ্রাম করতে হয়েছে। এক আল্লাহর ইবাদত ও তাঁর তাওহীদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাওয়াত মানেই জালিম প্রকৃতির সমাজপতি, গোত্রপতি ও রাষ্ট্রপতিদের কর্তৃত্বে আঘাত হেনে তাদের নীতিকে সমূলে উৎখাত করে আল্লাহ নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা। সূরা তাওবার ৩৩ ও সূরা সফ এর ৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে তাতে মুশরেকদের যতই জ্বালা ধরুক। সূরা ফাতাহ এর ২৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে এতে আল্লাহর স্বাক্ষীই যথেষ্ট। নবীদেরকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল এটি। কাজেই আবু জেহেল, উতবার মতো জালেম নেতারা তাদের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব হারানোর ভয়েই আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। তাই বলে কি কোন নবী এবং তাঁদের সাথীরা এর থেকে পিছ পা হয়েছিলেন? যারাই পিছপা হয়েছে তারাই হলো মুনাফিক। আর মুনাফিকরা কিন্তু কালেমা, নামায-রোযা, হজ্জ্ব যাকাত সব আদায় করেও জাহান্নামে যাবে। এত কিছু করার পরেও কেন তারা জাহান্নামে যাবে? কারণ রাজনৈতিক জীবনে তারা রাসূল (সা.)-কে নেতা মানতে পারেনি। আজকে যারা ইসলাম মানি, তাওহীদ মানি কিন্তু রাজনীতির ক্ষেত্রে তাগুতকে মেনে নিশ্চিন্তে বসে আছি। ভুলে গেলে চলবেনা, মুসলমান হতে হলে প্রথমেই তাগুত ও তাগুতী আইনকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তাগুতী নেতৃত্ব ও আইন মিল্লাতের ঈমান-আকীদাসহ দেশ ও জাতির সর্বনাশ করছে। কোথাও শান্তির লেশমাত্র নেই। মুসলমানদের শক্তিহীনতার কারণ কি? কেন এমন হলো বীরের জাতির। এখান থেকে জাতিকে উদ্ধার করার দায়িত্ব কার? বিশ্বে কি মুসলমান নেই? কুরআন সুন্নাহ কি হারিয়ে গেছে? কেন হলো এমন দশা। ঐতিহাসিক ক্রম বিবর্তন ও পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ইবনে খালদুন মন্তব্য করেছেন যে, কুরআন ও মহানবী (সা.) উপস্থাপিত যে সত্যাশ্রয়ী ইসলামী শাসন পদ্ধতি ছিল, তা হতে প্রচলিত শাসনব্যবস্থা বহুদূরে সরে গেছে। যার ফলেই বিশ্বে আজ আবার জাহেলিয়াত মাথাচাড়া দিয়ে মানবতা ধ্বংস করছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে মুসলমানদেরকে অবশ্যই কুরআনী শাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামী রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।