শালীন ও সুন্দর ভাষায় কথা বলুন

beautiful_garden_wallpaper_72753
الرَّحْمَٰنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ- خَلَقَ الْإِنسَانَ- عَلَّمَهُ الْبَيَانَ .(الرحمن)
পরম দয়ালু (আল্লাহ) এ কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তাকে কথা বা ভাষা শিখিয়েছেন। (সূরা রহমান : ১-৪) ভাষা পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার সেরা দান। তাঁর প্রথম করুণা তিনি আমাদেরকে মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন দ্বিতীয’ করুণা তিনি মনের ভাব নিজের উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায ব্যক্ত এবং ভালো ও মন্দ কল্যাণ ও অকল্যাণের মধ্যকার পার্থক্য নিরূপণের জন্য ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষের বাকশক্তি এমন একটি বিশিষ্ট নিযামত যা মানুষকে জীবজন ও পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্টি থেকে পৃথক করে রেখেছে।
মানুষ তার মতামত চিন্তা-চেতনা আবেগ-অনুভূতি প্রভৃতি ভাষার সাহায্যে মৌখিক অথবা কাগজে-কলমে লিখিত আকারে প্রকাশ করে এ সবই ( عَلَّمَهُ الْبَيَانَ) তথা ভাষা শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। তা ছাডা বিভিন্ন দেশ-জাতি ও ভূখন্ড বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে থাকে এটিও আল্লাহ তা’আলার এ শিক্ষারই অন্ত-র্ভুক্ত। যেমন প্রথম মহামানব আদম আ:-কে সৃষ্টি করার পর আহ তা’আলা বলেন,
وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا – البقرة31
অতঃপর আল্লাহ আদমকে সমস্ত জিনিসের নাম শেখালেন।’ (সূরা বাকারা : ৩১) এখানে পৃথিবীর সব ভাষাও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং বাংলা ভাষাও আহর সেরা দান।
আল্লাহ তাআলা যে বাকশক্তি দান করেছেন এটি শুধু বাকশক্তিই নয় বরং এর পেছনে জ্ঞান ও বুদ্ধি ধারণা ও অনুভূতি বিবেক ও সংকল্প এবং অন্যান্য মানসিক শক্তি কার্যকর থাকে যেগুলো ছাডা মানুষের বাকশক্তি কাজ করতে পারে না। এ গুলোর জন্য শিক্ষা বই-পুস্তক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রচার-প্রোপাগান্ডা ও ধর্মীয শিক্ষা লেখা বক্তৃতা বিতর্ক ও যুক্তি প্রমাণের মতো উপায উপকরণকেই শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকার করে। শুধু জন্মগত জ্ঞানকেই যথেষ্ট মনে করা হয না। ভাষা ব্যবহারের যথার্থতা থাকতে হবে। যে কথা বা ভাষা নিজের বা দেশের উপকারে আসে না সেটি ভাষা হতে পারে না।
উল্লেখিত আযাতে মানুষ সৃষ্টি ও ভাষা শিক্ষাদান করার আগেই কুরআনের কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ক্রমানুসারে প্রথমেই মানুষ সৃষ্টি দ্বিতীযত. ভাষা জ্ঞান শিক্ষা এরপর কুরআন শিক্ষা দেযার কথা আসতে পারে। কিন্তু’ এ ক্রমধারা বজায় না রেখে প্রথমেই কুরআনের কথা বলে এ ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে, মানব সৃষ্টির আসল লক্ষ্যই হচ্ছে কুরআন শিক্ষা এবং কুরআন নির্দেশিত পথে চলা ও কুরআনের ভাষায কথা বলা। যিনি মানুষ সৃষ্টি করলেন এবং তাকে কথা বলাও শিখালেন অথচ তার কথা বলার ধরন কি হবে তা তিনি দেখাবেন না তা কি হতে পারে?
সৃষ্টি যার শিক্ষাও হবে তার। সৃষ্টি যেমন শিক্ষাও হবে তেমন। সুতরাং যে সৃষ্টিকে ভাষা শেখানো হয়েছে তার জন্য কুরআনই হতে পারে শিক্ষার উপযুক্ত মাধ্যম। মানুষ যদি আল-কুরআনকে বাদ দিয়ে অন্য কিছু শিখে তবে তাদের অবস্তা ওই সৃষ্টিকুলের মতোই হবে অথবা তাদের চেয়ে নিম্নতর হবে, যে সৃষ্টিকুলকে ভাষাজ্ঞান দেযা হযনি। সত্যিই তখন এ দুয়ের পার্থক্য নিরূপণ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁডায। মানুষ নৈতিক জীবের যোগ্যতা ও মর্যাদা হারায় ।
ভাষা বা কথা দুই প্রকার।
 এক, পবিত্র বা ভালো কথা।
 দুই, খারাপ কথা

আল্লাহ তাআলা বলেন .
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ – تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا ۗ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ .(ابراهيم
তুমি কি দেখছো না আহ কালেমা তাইয়েবার উপমা দিয়েছেন কোন্ জিনিসের সাহায্যে ? এর উপমা হচ্ছে যেমন একটি ভালো জাতের গাছ, যার শিকড় মাটির গভীরে প্রোথিত এবং শাখা-প্রশাখা আকাশে পৌঁছে গেছে৷। প্রতি মুহূর্তে নিজের রবের হুকুমে সে ফলদান করে। এ উপমা আল্লাহ তা’আলা এ জন্য দেন যাতে লোকেরা এর সাহায্যে শিক্ষা লাভ করতে পারে।
وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ
অন্য দিকে অসৎ বাক্যের উপমা হচ্ছে একটি মন্দ গাছ যাকে ভূপৃষ্ঠ থেকে উঠিয়ে দূরে নিক্ষেপ করা হয । যার কোনো স্তায়িত্ব নেই। (সূরা ইবরাহিম : ২৪-২৬) পৃথিবীর সর্বোত্তম কথা হলো কালিমাতুত তাইয়্যেবা তথা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেছেন.
لَّا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَن ظُلِمَ ۚ وَكَانَ اللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا)النساء
মানুষ খারাপ কথা বলে বেড়াক তা আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। তবে কারো জুলুম করা হলে তার কথাস্বতন্ত্র। আর আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও জানেন। (সূরা নিসা : ১৪৮) হজরত আবু হোরায়রা রা: বর্ণনা করেছেন রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের জান মাল ও ইজ্জত হারাম। (মুসলিম ও তিরমিজি) হজরত আবু সাঈদ খুদরী রা: বলেন নবী সা: বলেছেন এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করে না তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করে না।
কোনো ব্যক্তির জন্য তার কোনো মুসলমান ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মতো অপকর্ম আর নাই। (মুসনাদে আহমাদ) রাসূল সা: বলেছেন মুসলিম সে যার ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানেরা নিরাপদ থাকে । (সহিহ বুখারি) রাসূল সা: আরো বলেছেন ভাষার ফসলই মানুষকে জাহান্নামে উপুড় করে নিক্ষেপ করবে। (তিরমিজি)
এ ছাড়াও কুরআনের বহু আয়াত ও হাদিসে মন্দ কথা উচ্চারণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান রাখেন মন্দ কথা থেকে বিরত থাকা তাদের ঈমানি দায়িত্ব। কারণ কালিমা তাইয়্যরো পৃথিবীর সর্বোত্তম কথা। এ কালিমাটি যিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তার চরিত্রে এক দিকে ভালো কথা ভালো চিন্তা ও আচরণ অন্য দিকে মন্দ কথা মন্দ চিন্তা বা আচরণ একই সাথে বিরাজ করতে পারে না।
পৃথিবীর সর্বোত্তম কথা হলো কালিমা তাইয়্যবো তথা আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মদ আআল্লাহর রাসূল। এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস থেকে ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ উদ্ভূত। প্রত্যেকেই এক আল্লাহ ও রাসূল সা:-এ বিশ্বাসী এবং প্রত্যেকেই এক আদমের আ: বংশদ্ভূত কাজেই ভ্রাতৃত্ব পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সৌহার্দ্য ঈমানেরই অঙ্গ। ঈমানের এই ঐক্য মানুষের পার্থিব সব কার্যকলাপকে সুসংহত করে। বিশ্বাসের এ ঐক্য মানুষের প্রতি মানুষের হিংসা বিদ্বেষ কটূক্তি দুরুক্তি তিরস্কার বিদ্রূপ অশালীন ও অশ্রাব্য কথা বলতে বাধার সৃষ্টি করে। কারণ মন্দ কথা হলো কালিমাতুল খাবিসা । মন্দ কথায় কোনো লাভ নেই। এতে কোনো উপকার নেই। আছে ক্ষতি আর ক্ষতি। এটি নিজের ব্যক্তিত্ব সুনাম ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। মন ও চরিত্রকে করে কলুষিত। ভ্রাতৃত্ববোধ বিনষ্ট হয়। যে মন্দ কথা বলে তাকে সবাই ঘৃণা করে। এ ছাড়াও মন্দ কথা সমাজে স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِن فَوْقِ الْأَرْضِ مَا لَهَا مِن قَرَارٍ. ابراهيم
অন্য দিকে অসৎ বাক্যের উপমা হচ্ছে, একটি মন্দ গাছ, যাকে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপড়ে দূরে নিক্ষেপ করা হয় . যার কোনো স্হায়িত্ব নেই।’(সূরা ইবরাহিম : ২৫) মন্দ কথা ঐক্য বিনষ্ট করে। অথচ ইসলাম একতা অখণ্ডতা ও অবিভাজ্যতারূপকে অধিক পছন্দ করে। অনৈক্য ঈমানেরও পরিপন্তী। কারণ ইসলামের প্রতিটি ইবাদাতই মানুষকে মন্দ কথা ও কাজ পরিহার করে ভালো কথা বলা ও ভালো পথে চলার জন্য অনুপ্রাণিত করে। সুন্দর ভাষায় ও ভালো কথার মাধ্যমে মানুষকে ডাকার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছ
ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ .( النحل
তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর ভাষায় আহ্বান করো। (সূরা নাহল : ১২৫) সব আম্বিয়ায়ে কেরাম ইসলামি আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার বেশীর ভাগ কৃতিত্বের দাবিদার। তাদের সুন্দর আচরণ যাকে আল কুরআনে .শুয়াদা আ’লান নাস. বা বাস্তব সাক্ষ্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন . ض২০ وَشَدَدْنَا مُلْكَهُ وَآتَيْنَاهُ الْحِكْمَةَ وَفَصْلَ الْخِطَابِ.
আমি দাউদের রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে দিয়েছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা আর সর্বোত্তম অকাট্য কথা বলার যোগ্যতা। (সূরা সোয়াদ : ২০) হজরত মূসা ও হারুন আ: ফিরাউনের কাছে প্রেরণের প্রাক্কালে আল্লাহ তা’আলা বলেন
اذْهَبَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَىٰ.- فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَىٰ.(طه
তোমরা দু’জন যাও ফিরাউনের কাছে, সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে। আর তার সাথে কোমলভাবে কথা বলবে যাতে করে সে উপদেশ গ্রহণ করে কিংবা ভীত হয়ে যায়। (সূরা ত্বাহা : ৪৩-৪৪)
শেষ নবী মুহাম্মদ সা:-কে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَقُل لِّعِبَادِي يَقُولُوا الَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنزَغُ بَيْنَهُمْ ۚ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلْإِنسَانِ عَدُوًّا مُّبِينًا﴾(ابراهيم
হে মুহাম্মদ. আমার বান্দাদের বলো তারা যেন মুখ হতে সে সব কথাই বের করে যা অতি উত্তম। আসলে শয়তানই মানুষের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করে থাকে। প্রকৃত কথা হলো শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। (বনি ইসরাঈল : ৫৩)
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللَّهِ لِنتَ لَهُمْ ۖ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ .(الإعمران
এটা আল্লাহ তা’আলারই দয়া যে তুমি তাদের প্রতি ছিলে কোমল প্রকৃতির। তা না হয়ে যদি তুমি তাদের প্রতি কঠোর হতে . তাহলে তারা তোমার কাছ থেকে সরে যেত। (সূরা আল ইমরান : ১৫৯) রাসূল সা: ও মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন,
إِذْ جَعَلَ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَىٰ رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَىٰ وَكَانُوا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا ۚ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا﴾
এ কারণেই যখন ঐ সব কাফেররা তাদের মনে জাহেলী সংকীর্ণতার স্থান দিল তখন আল্লাহ তাঁর রসূল ও ঈমানদারদের ওপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে তাকওয়ার নীতির ওপর সুদৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত রাখলেন৷ তারাই এ জন্য বেশী উপযুক্ত ও হকদার ছিল৷ আল্লাহ সব জিনিস সম্পর্কেই পরিজ্ঞাত। (সূরা ফাতাহ : ২৬)৷
সুতরাং সকলের সাথে সুন্দর ও ভালো কথা বলুন । মিথ্যা অসৎ ও খারাপ কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকুন। সুন্দর ও ভালো কথা ঐক্যকে সুদৃঢ় করে। সুন্দর করে কথা বলা মানুষের শ্রেষ্ঠ একটি গুণ। আর এটি আল্লাহর দান। রাসূল সা: বলেন, ‘তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে কথা বলা একটি দান। পক্ষান্ত-রে খারাপ, মিথ্যা ও অসৎ কথা শয়তানের কাজ। মিথ্যা অসৎ কথা ও কাজ পরিত্যাগ করে সুন্দরভাবে কথা বলার জন্য কুরআন পড়ুন। কুরআনের প্রতিটি কথা কালেমা তাইয়্যবোর অন্তর্ভুক্ত। তা ছাড়া নিজেদের জ্ঞানের ভিতকে মজবুত করার জন্য কুরআনের জ্ঞান অপরিহার্য।

Related Post