রাসূল (সা.)-এর জীবনী (জন্ম থেকে নবুয়্যাতের আগ পর্যন্ত )

 

রাসূল (সা.)-এর জীবনী (জন্ম থেকে নবুয়্যাতের আগ পর্যন্ত )

রাসূল (সা.)-এর জীবনী (জন্ম থেকে নবুয়্যাতের আগ পর্যন্ত )

পূর্বে প্রকাশিতের পর

ওহী নাযিলের প্রাক্কালে পৃথিবীর অবস্থা (ধর্মীয়):  ইসলামের আহ্বায়ক মুহাম্মদ (সাঃ) কী প্রতিকূল পরিবেশে তাঁর দায়িত্ব পালনের কাজ শুরু করেছিলেন, তা স্পষ্টত সামনে না থাকলে তাঁর কাজের গুরুত্ব এবং তাঁর বিশালতা উপলব্ধি করা কিছুতেই সম্ভবপর হবে না। এ কারণেই ওহী নাযিলের প্রাক্কালে পৃথিবীর সার্বিক অবস্থার ওপর কিছুটা আলোকপাত করা দরকার। ইসলাম মানুষের কাছে যে দাওয়াত পেশ করেছে, তার সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বুনিয়াদ হচ্ছে তাওহীদ। কিন্তু এই তাওহীদের আলো থেকেই তখনকার পৃথিবী ছিলো অন্ধকারে। তখনকার দিনে মানুষের মনে তাওহীদ সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণাই বর্তমান ছিলো না। এ কথা সত্যি যে, মুহাম্মদ  (সাঃ)-এর আগেও আল্লাহর অসংখ্য নবী-রাসূল দুনিয়ায় এসেছেন এবং প্রতিটি মানব সমাজের কাছেই তাঁরা তাওহীদের দাওয়াত পেশ করেছেন। কিন্তু মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে, মানুষেরা ইসলামের এ সুমহান শিক্ষা  থেকে বিস্তৃত হয়ে সে নিজের ইচ্ছা-প্রবৃত্তির দাসত্বে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং তার ফলে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-উপগ্রহ, পাহাড়-পর্বত, জ্বিন-ফেরেশ্তা, মানুষ, পশু ইত্যাদির অনেক বস্তুকে নিজের উপাস্য বা মা’বুদের মধ্যে শামিল করে নেয়। এভাবে মানুষ এক  আল্লাহর ইবাদতের পরিবর্তে অসংখ মা’বুদের বন্দেগীর আবর্তে জড়িয়ে পড়ে।                                                    
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে তখন পারস্য রোম-এই দু’টি গুরুত্ব পূর্ণ শক্তি বর্তমান ছিল। পারস্যের ধর্মমত ছিল অগ্নিপূজা।  এর প্রতিপত্তি ছিল ইরাক থেকে ভারতের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। আর রোমের ধর্ম ছিলো খ্রীষ্টবাদ। এটি গোটা ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকাকে পরিবেষ্টন করে ছিল । এদু’টি বৃহৎ শক্তি ছাড়া ধর্মীয় দিক থেকে ইহুদী ও হিন্দু ধর্মের কিছুটা গুরুত্ব ছিল। এরা প্রত্যেকেই নিজ-নিজ এলাকায় সভ্যতার দাবী করত। অগ্নিপূজা ছাড়া ইরানে নক্ষত্র-পূজারও ব্যাপক প্রচলন ছিল । সেই সঙ্গে রাজা-বাদশাহ ও আমীর-ওমারাগণও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রজাদের রবের ও দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত ছিল । তাদেরকে যথারীতি সিজদা করা হতো এবং তাদেরকে এমন সংগীত পরিবেশন করা হতো যা রবের জন্য প্রযোজ্য। সারা দুনিয়া থেকেই তাওহীদের ধারণা বিদায় নিয়েছিল । ধর্মের নামে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, তাকে ধর্মীয় মহল ব্যবসায়ের পণ্যে পরিণত করেছিল। ধর্মীয় উপদলগুলো পরস্পরের রক্ত ঝরাতো। নবীদের শিক্ষা বিকৃতি ও অপব্যাবহারের ফলে সঠিক ধর্ম উধাও হয়ে গিয়েছিল। আজ বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকালে বিশেষ করে আমাদের দেশের কতিপয় মহল বিশেষ ধর্মের নামে যে সব অনুষ্ঠান পালন করছেন, মনে হয় সরল সহজ মানুষদেরকে তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সেই জাহেলিয়াতের দিকেই ধাবিত করছে আর তাদের রক্ত ঝরানো পরিশ্রমের পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। যেমন, কবর পূজা ও কবরপূজার সমর্থনে প্রদত্ত  খোড়া যুক্তিসমূহ। পীরের দরগায় বাতি, পীর এবং পীরের কবরকে সেজদা, ত্রিশ হাজার ‘জাহেরী’ ও ষাট হাজার ‘বাতেনী’ কালাম, তথাকথিত শরিয়ত ও মারেফত, কেরামত ও কামালিয়াত, লালনের নামে আধ্যাত্মিক সাধনায় ভন্ডামী, বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠান, ঈদে মিলাদুন্নাবী নামে বাড়াবাড়ি ইত্যাদি। এতে ইন্ধন  যোগাচ্ছে এক শ্রেণীর আলেম বেশধারী কতিপয় কুলাঙ্গার, দেশী-বিদেশী কতিপয় বহুজাতিক কোম্পানী, কতিপয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিণ্ট মিডিয়া। এসব বিষয়সমূহ বিস্তারিত লিখতে গেলে কলেবর বড় হয়ে যাবে। তবুও একটি উদাহরণ না দিলেই নয়। যেমন কবর পূজা। এটা পূজা হলো কিভাবে?
কবরবাসীদের জন্য আমাদের কি করণীয় তা একাধিক সহীহ্ হাদীসসমূহে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তা সত্ত্বেও মাযার ভক্তরা পীর-আওলিয়াদের কবরের ওপর ঘর নির্মাণ করে ঐ কবরের ওপর রঙ্গীন চাঁদুয়া টাঙ্গিয়ে দামী চাদরের ঢাকনি বিছায়, ফুল ও সুগন্ধি ছিটায়, আগর বাতি জ্বালায় ও আলোক সজ্জার আয়োজন করে সে কবরকে পূজা মন্ডপ সদৃশ আকৃতি প্রদান করে। এর পর ওরসের নামে নারী-পুরুষ  যৌথ সমাবেশে গান-বাজনার আসর জমিয়ে ওরসকে যেন পূজা অনুষ্ঠান তুল্য একটা গান-বাজনা সর্বস্ব অনুষ্ঠানে পরিণত করে তুলে। হিন্দু ধর্মালম্বীরা যেভাবে পুণ্যার্জনের জন্য মূর্তির সামনে বাদ্য-যন্ত্র সহযোগে হরিকীর্তণ গায়, মুসলমানরাও যদি সেভাবে কবরের পাশে গান-বাজনা সর্বস্ব ওরস করাকে ছাওয়াবের কাজ বলে মনে করে তবে, হরিকীর্তণ আর ওরসের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
  পূজারীরা যেমনি নিজ হাতে গড়া মূর্তির সামনে ভোগ দেয়া প্রসাদ বিতরণ করাকে মনো বাসনা পূরণের উপায় বলে ধারনা করে, মুসলমানরাও যদি তেমনিভাবে পীরের মাযারে শিরনি বিতরণ করাকে মনোবাসনা পূরণের পন্থা বলে বিশ্বাস করে, তবে পূজারীদের প্রসাদ আর মুসলমানদের শিরনি-এ দুয়ের মাঝে কোন নীতিগত ব্যবধান থাকে কি?  উপরোলি−খিত প্রত্যেকটি বিষয় বিশে−ষণ করলে এমনিভাবেই প্রমাণিত হবে যে, এসবই ধর্মের নামে ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়।
সুদীর্ঘকাল যাবত পৌত্তলিক সমাজের পাশাপাশি অবস্থানের দরুন এ দেশের মুসলিম সমাজে বহু হিন্দুয়ানী ভাবধারা তথা র্শিক এর যেমন অনুপ্রবেশ ঘটেছে তেমনি খৃষ্টান শাসন আমলে ইউরোপ ও বহির্বিশ্বের নানাবিধ কুপ্রথা কুসংস্কারও এখানে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। এজাতীয় র্শিক এবং ইসলাম পরিপন্থি অপসংস্কৃতি ও কর্মধারা সমূলে উৎপাটন না করলে জগদ্দল পাথরের ন্যায় তা এক সময়ে গোটা মিল্লাতকে বিপন্ন করে তুলতে পারে। মুসলমান জাতি যতদিন কুরআন ও সুন্নাহর ধারায় সজীব ছিল, ততোদিন তারাই ছিল গোটা বিশ্বের সর্বোত্তম জাতি। কিন্তু যখন কুরআনী চিন্তা ও ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করে বিভিন্ন দর্শন ও মতবাদকে আঁকড়ে ধরেছে তখনই মুসলিম জাতি পথ হারিয়েছে। গোটা মুসলিম সভ্যতা ও অগ্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছে।
সভ্যতার অন্তরালে মানবতার ভয়াবহতম বীভৎস ইতিহাস  (রাজনৈতিক)
মানব জাতির ত্রাণকর্তা মুহাম্মদ  (সাঃ)-এর ওপর ওহীর আবির্ভাব ঘটেছিল এমন এক পরিস্থিতিতে, যখন সমগ্র মানবজাতি ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল । কোথাও চলছিল পাশবিকতা ও হিংস্রতার যুগ। কোথাও র্শিক ও পৌত্তলিকতার অভিশাপ সভ্য জীবনের সর্বনাশ সাধন করছিল। মিশর, ভারত, ব্যাবিলন, নিনোভা, গ্রীস ও চীনে সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। একমাত্র রোম ও পারস্যের সভ্যতার পতাকা উড়ছিল। সেই রোমক ও ইরানী সভ্যতার বাহ্যিক জাঁকজমক চোখ ঝলসে দিত। অথচ সেসব নয়নাভিরাম প্রাসাদের অভ্যন্তরে চলতো লোমহর্ষক যুলুম ও নির্যাতন। জীবনের ক্ষতস্থান থেকে বেরুত উৎকট দুর্গন্ধ। রাজা ও সম্রাটগণ শুধু রবের অবতারই ছিলনা, বরং তারাই রব হয়ে জেঁকে বসেছিল। তাদের সাথে আঁতাত করে জনগণের ওপর প্রভুত্ব চালাতো ভূমি মালিক ও ধর্মযাজক শ্রেণী। রোম ও ইরান উভয় সম্রাজ্যের এই নিদারুণ শোষণ নিস্পেষণে সাধারণ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরতে বসেছিল। তারা জনগণের কাছ থেকে মোটা অংকের কর, খাজনা, ঘুষ ও নজরানা আদায় করতো। উপরন্তু তাদেরকে পশুর মত খাটনী খাটাতে বাধ্য করা হত। অথচ এদের অভাব অভিযোগ, দুঃখ কষ্ট ও বিপদ মুসিবত নিয়ে না ছিল তাদের ভাবনা, না ছিল কোন সহানুভূতি, আর না ছিল এ সবের সমাধান বা প্রতিকার। এ সব কর্তৃত্বশীল শ্রেণীর ভোগ বিলাস ও প্রকৃতিপূজা তাদের নৈতিক সত্ত্বাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
  রাজা বাদশাহদের পালাবদল ও উত্থান-পতন, নিত্য নতুন বিজেতাদের আবির্ভাব এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধবিগ্রহের কারণে পরিস্থিতির যে সাময়িক পরিবর্তন ঘটতো, তাতেও সাধারণ মানুষের জন্য কোন মুক্তির পথ উন্মুক্ত হতো না। প্রত্যেক পরিবর্তনের পর সাধারণ মানুষ আরো বেশী করে শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ট হত । যে শক্তিই ক্ষমতার রংগমঞ্চে আবির্ভূত হতো, সে সাধারণ মানুষকেই শোষণের হাতিয়ার বানিয়ে, তাদেরই শ্রমকে কাজে লাগিয়ে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করত এবং বিজয় ও কর্তৃত্ব অর্জনের পর সে পূর্বসুরীদের চেয়েও বড় জুলুমবাজ ও বড় শোষকে পরিণত হত। স্বয়ং রোম ও ইরান উভয় সম্রাজ্য দ্বয়ের মধ্যেও ক্রমাগত সংঘাত-সংঘর্ষ লেগে থাকত । বিভিন্ন অঞ্চল কখনো এক সম্রাজের দখলে যেত, কখনো আরেক সম্রাজ্য তাকে গ্রাস করত । কিন্তু প্রতিবার বিজয়ী শক্তি প্রজাদের কোন না কোন গোষ্ঠীকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করত। ইরানী সম্রাজ্যভুক্ত কোন জায়গা রোম সম্রাজের পদানত হলে সেখানকার অগ্নিকু-গুলো নিভিয়ে তদস্থলে গীর্জা নির্মাণ করা হত, আবার রোম সম্রাজ্যভুক্ত কোন জায়গা ইরানীদের দখলে গেলে সেখানকার সমস্ত গীর্জা পর্যবসিত হত অগ্নিকুণ্ডে। দুনিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল থাকত অরাজকতার কবলে। প্রতিনিয়ত যুদ্ধবিগ্রহ, সংঘাত সংঘর্ষ ও বিদ্রোহ সংঘটিত হত । এসব দাংগা হাংগামায় দলিত মথিত হতো মানুষের মানবিক মর্যাদা। লাঞ্ছিত ও ভুলুণ্ঠিত হতো তার মনুষ্যত্ব। হাড়ভাংগা পরিশ্রম করেও সে জীবনের নূন্যতম প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হতনা। শত যুলুম নির্যাতনের মুখেও সে সামান্যতম প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারতনা। চরম তিক্ত অনুভূতিও তাকে নীরবে হজম করতে হত। বিবেক ও মন এমন কঠিন দাসত্বেও নিগড়ে আবদ্ধ থাকতো যে, টু শব্দটি করার স্বাধীনতাও তার থাকতনা। কী সাংঘাতিক লোহার খাঁচায় সে আবদ্ধ থাকত এবং কত হতাশা ও ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাসে যে তার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে থাকতো, কে তার খবর রাখত। মানুষ প্রবৃত্তির গোলামীর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়ে হিংস্র হায়েনা ও চতুষ্পদ জন্তুর মত জীবন যাপন করছিল। শক্তিমানরা দুর্বলদেরকে পশুর পালের মত নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাত। দুর্বলেরা শক্তিমানদের পদতলে লুটিয়ে থাকতো। তৎকালে সভ্যতার দাবীদারদের বাহ্যিক সভ্যতার জাঁকজমক ও নয়নাভিরাম প্রাসাদের অভ্যন্তরে চলতো ইতিহসের ভয়াবহতম বীভৎস অরাজকতা।
আমরা একটু চিন্তা ভাবনা করে দেখি, মানব জাতি এখন ইতিহাসের কোন্ স্তর অতিক্রম করছে এবং আমাদের অবস্থানটা কোথায়? বিশ্বব্যাপী চলমান জড়বাদী সভ্যতার জমকালো পর্দার আড়ালে উঁকি দিয়ে দেখলে মানবতার এমন শোচনীয় দৃশ্য চোখে পড়ে যে, মানুষ মাত্রই আত্মা  কেঁপে ওঠে। সমগ্র মানব জাতি গুটিকয় কামনা বাসনার অক্টোপাস বন্ধনে আবদ্ধ। সর্বত্র সম্পদ ও গদির জন্য যুদ্ধ চলছে। মনুষ্যত্বের নৈতিক চেতনার দীপ শিখা নিভে গেছে। নগর সভ্যতার উনèয়নের সাথে সাথে অপরাধ দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে। মনস্তাত্বিক অস্থিরতা প্রবল হয়ে উঠেছে এবং মানসিক শান্তি উধাও হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় আইন কানুনে ন্যায় বিচারের অস্তিত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিতে সেবামূলক মানসিকতার পরিবর্তে স্বার্থপরতা আত্মকেন্দ্রিকতা ঢুকে পড়েছে। সভ্যতার জগতে সর্বত্র পরস্পর বিরোধিতা ও সংঘাত বিরাজ করছে। বুদ্ধিবৃত্তির প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু বুদ্ধিমানদের নির্বুদ্ধিতা এখনো আমাদের নিদারূণ কষ্ট দিয়ে চলেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের কত নতুন নতুন শাখা আবিস্কৃত হচ্ছে। কিন্তু এর লালিত অজ্ঞতা ও মূর্খতা আদম সন্তানকে অতিষ্ট করে তুলেছে। অঢেল ধন সম্পদ চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। অথচ মানুষ ক্ষুধা ও বঞ্চনার আযাব ভোগ করে চলেছে। অসংখ্য রকমের সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমূহ, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, আদর্শগত ঐক্য ও চুক্তি ভিত্তিক বন্ধন বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও মানুষ-মানুষে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক নেই, আছে কেবল হিংস্র জন্তু সুলভ সম্পর্ক। নির্যাতন ও নিপীড়নের চরম হঠকারী ও ঘৃণ্য কৌশল মানব জাতির বিরুদ্ধে আজও বাস্তবায়িত হচ্ছে। সভ্যতার দাবীদার এ কেমন জাহেলিয়াতের ভিতর আমরা বসবাস করছি? আমাদের কি কোন দায়িত্ব নেই? (চলবে…)

Related Post