উম্মুল মু’মেনীন হযরত ছফিয়্যা বিনতে হুইয়াই (রা.)

উম্মুল মু’মেনীন হযরত ছফিয়্যা বিনতে হুইয়াই (রা:)

উম্মুল মু’মেনীন হযরত ছফিয়্যা বিনতে হুইয়াই (রা:)

মূল: নিয়াজ ফতেহপুরী। অনুবাদ: গোলাম সোবহান সিদ্দিকী
তার নাম ছফিয়্যা। তার পিতা ছিলেন হযরত হারুন ইবনে ইমরান আলাইহিস সালামের অধস্তন পুরুষ। এজন্যই তাকে বলা হয় ছাফিয়্যা ইবনেতে হুইয়াই ইসরাঈলিয়া। তার বংশধারা এই: ছফিয়্যা ইবনেতে হুইয়াই ইবনে আখতাব ইবনে সাঈদ ইবনে আমের ইবনে ওবাইদ ইবনে কাআব ইবনুল খাযরাজ ইবনে আবু হাবীব ইবনে নুছাইর ইবনে নাহহাম ইবনে মাইখুম। তার মাতা ছিলেন বাররা ইবনেতে সামওয়ান। তার বংশধারা ইহুদীদের মশহুর খান্দান কুরাইযার সাথে মিলিত হয়েছে। এ হিসেবে হযরত ছফিয়্যার পিতৃকুল বনু নযীর এবং মাতৃকুল বনু কুরাইযার ইহুদীদের এক বংশে গিয়ে মিলিত। (তাবকাত ৮ম খ- পৃষ্ঠা: ৮৬)
তার পিতা এবং দাদা উভয়ই ছিলেন জাতির সম্ভ্রান্ত এবং সম্মানিত নেতা। আর এ কারণে বনী ইসরাঈলের সকল আরবীয় গোত্রের মধ্যে তাকে বিশিষ্ট মর্যাদা দেয়া হতো। তার পিতা হুইয়াই ইবনে আখতাবকে অসীম সম্মান করা হতো। জাতির সব লোক বিনা দ্বিধায় তার নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব মেনে নেয়। তার মাতা বাররা ছিলেন সামওয়ান এর কন্যা, শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের জন্য তিনি গোটা জাযিরাতুল আরবে বহু খ্যাত ছিলেন। মোট কথা, হযরত ছফিয়্যার বংশধারা এক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিল।
বিবাহ
তার প্রথম বিয়ে হয় সালাম ইবনে মিশকাম আল-কারাযীর সাথে। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ কবি এবং সর্দার। তিনি তালাক দেওয়ার পর কেনানা ইবনে আবূল আফীফ এর সাথে তার বিয়ে হয়। মর্যাদার দিক থেকে তিনিও সালাম ইবনে মিশকামের চেয়ে কম ছিলেন না। তিনি ছিলেন খায়বরের নামকরা দুর্গ আলকামুদ এর সর্দার। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি এখানেই বসবাস করতেন। খায়বরে মুসলমানদের বিস্ময়কর বিজয় সূচিত হলে আলকামুদ এর মতো সুরক্ষিত দুর্গ মুসলমানদের হস্তগত হয়। এ সময় কেনানা ইবনে আবূল আফীফ দুর্গের অভ্যন্তরে নিহত হয় এবং হযরত ছফিয়্যাসহ তার পরিবার-পরিজন বন্দী হয়।
ইহুদীদের জন্য খায়বর যুদ্ধ ধ্বংসকর প্রমাণিত হয়। এ যুদ্ধের ফলে তাদের সকল  আশা-আকাঙ্খা দলিসাৎ হয়ে যায়। এ যুদ্ধে তাদের নামকরা সর্দাররা মারা যায়। হযরত ছফিয়্যার পিতা এবং ভাইও এদের মধ্যে ছিলেন। এ কারণে যুদ্ধ বন্দীদের মধ্যে হযরত ছাফিয়্যা বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন।
গণীমতের মালামাল বন্টনের সময় সকল বন্দীকেও হাযির করা হয়। এ সময় দেহ্ইয়া কাল্বী নবীজীর খেদমতে নিবেদন করেন যে, আমার একজন দাসী প্রয়োজন। নবীজী বেছে নেয়ার অনুমতি দেন। দেহইয়া হযরত ছাফিয়্যাকে পছন্দ করেন। মান-মর্যাদা বিচারে তিনি ছিলেন অনেক উর্ধ্বে। তাই দেহইয়ার দাসী হিসেবে তাকে দেওয়া ঠিক হয় না। তদুপরি তার সাথে সাধারণ বন্দীদের মতো আচরণ করাও সাজে না। এ কারণে কোন কোন সাহাবী আরয করেন যে, ছফিয়্যা বনু নযীর এবং বনু কুরাইযার রইস মহিলা। সে তো আপনার জন্যই শোভা পায়। নবীজী এ পরামর্শ কবুল করেন। তিনি দেহ্ইয়াকে অন্য দাস দিয়ে ছফিয়্যাকে মুক্ত করে বিয়ে করেন। এটা হিজরী ৭ম সালের ঘটনা। (উসুদুল গাবা ৫ম খ- পৃষ্ঠা: ৪৯০) বিয়ের পর খায়বর রওয়ানা হলে ছহবা নামক স্থানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এখানে ওয়ালিমা ভোজ সম্পন্ন হয়। ছহবা থেকে আগমনকালে নবীজী তাকে নিজ উটের পিঠে বসান আর নিজের জুব্বা দিয়ে তাঁকে ছায়া দেন, যাতে লোকেরা জানতে পারে যে, হযরত ছাফিয়্যাও আয্ওয়াজে মুতাহ্হারাতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। (তাবকাত ৮ম খ- পৃষ্ঠা: ৮৬)
নবীজী মদীনায় পৌঁছে হযরত ছফিয়্যাকে নিয়ে হযরত হারেস ইবনে নু‘মান এর বাসায় গমন করেন। তিতনি ছিলেন মহানবীর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবী। আল্লাহ তাকে সম্পদও দিয়েছিলেন অনেক। তিনি হযরতের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। এ সময় তাঁর আত্মত্যাগ অনেক কাজে এসেছে। উম্মে সেনান সালামিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী হযরত ছফিয়্যার রূপ-সৌন্দর্যের কথা শুনে আনসারদের অন্যান্য নারীদের সাথে হযরত যয়নব ইবনেতে জাহাশ, হযরত হাফসা, হযরত আয়েশা এবং জুয়াইরিয়া তাকে দেখার জন্য সকলে সকলে বোরখা পড়ে ঘরে যান। আতা ইবনে ইয়াসার এর বর্ণনা মতে দেখা যায়, হযরত ছফিয়্যার রূপ-সৌন্দর্যের বিষয় শুনে আনসারদের নারীরাও তাকে দেখতে যান। হযরত আয়েশাও নেকাব পরে এদের সঙ্গী হন। এরা চলে যাওয়ার সময় নবীজী পেছনে আসেন এবং হযরত আয়েশাকে বলেন, আয়েশা! তাকে কেমন দেখলে? তিনি বললেন, সেতো ইহুদী নারী। হযরত বললেন এমন কথা বলবে না। সে তো মুসলমান হয়েছে, এখন ইসলামে সে উত্তম।   (তাবকাত ৮ম খ- পৃষ্ঠা: ৯০)
চরিত্র-মাধুর্য
তিনি ছিলেন অতি ঠান্ডা মেজাজের মহিলা। নিজেকে সংবরণ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। আল-কামুদ দুর্গ বিজয়ের পর যখন খায়বরে ইসলামী পতাকা উড্ডীন হয়, তখন হযরত বেলাল, হযরত ছফিয়্যা এবং তার চাচাতো বোনকে নিয়ে নবীজীর দরবারের উদ্যেশে গমন করেন। পথে তারা ইহুদীদের লাশ দেখতে পান। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে নিজেকে সংবরণ করা খুবই কঠিন কাজ। এ সময় অনেক পাষাণ হৃদয়ও কেঁপে ওঠে, ভেঙ্গে পড়ে। সাথের অন্যান্য মহিলারা এ দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওটে। কিন্তু হযরত ছফিয়্যা এ সময়ও ছিলেন ধীর-শান্ত। প্রিয় স্বামীর লাশ দেখে তার চোখে শোকের রেখা পড়েনি। (উসুদুল গাবাহ ৫ম খ- ৪৯০ পৃ.)
তার জনৈক দাসী হযরত উমরের নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এর মধ্যে এখনও ইহুদীর গন্ধ পাওয়া যায়। কারণ সে এখনও শনিবারকে ভালোবাসে। ইহুদীদের সাথে এখনও তার সম্পর্ক রয়েছে। হযরত উমর এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লোক মারফত তার কাছ থেকে জেনে নেন। জবাবে তিনি বলেন, শনিবারকে ভালোবাসার কোন প্রয়োজন নেই। ইহুদীদের সঙ্গে তো আমার আত্মীয়তা রয়েছে। আত্মীয়তার প্রতি আমাকে লক্ষ্য রাখতে হয়। অতঃপর তিনি দাসীকে জিজ্ঞেস করেন, কে তোমাকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে? সে বললো: শয়তান। এটা শুনে হযরত ছফিয়্যা চুপ থাকেন এবং দাসীকে মুক্ত করে দেন। (আল ইস্তিয়াব ২য় খ- ৭৬৩ পৃ.)
তিনি আল্লাহর রাসূলকে অতি ভালোবাসতেন। নবীজী অসুস্ত হলে সমস্ত স্ত্রীরা যখন তাকে দেখতে আসেন, তখন হযরত ছফিয়্যা দুঃখ করে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সব দুঃখ যদি আমি পেতাম। তার মুখে এ কথা শুনে অন্যান্য স্ত্রীরা একে অন্যের মুখ পানে তাকান। রাসূল (সা.) বলেন: আল্লাহর শপথ, সে সত্যবাদী নারী। (আল ইসাবাহ ২য় খ- ৬৬৯ পৃ.)
তার প্রতি নবীজীর ভালোবাসাও প্রায় এমনই ছিল। তিনিও হযরত ছফিয়্যাকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং মন জয় করার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। একবার সফরে ছিলেন। অন্যান্য স্ত্রীরাও সঙ্গে ছিলেন। ঘটনাক্রমে হযরত ছফিয়্যার উট অসুখে পড়ে। তিনি ঘাবড়ে গেলেন এবং কাঁদতে শুরু করলেন। নবীজী জানতে পেরে নিজেও তার নিকট গমন করেন এবং আপন হস্ত মোবারক দ্বারা তার চোখের পানি মুছে দেন। কিন্তু এর ফলে তার কান্না আরও বেড়ে যায়। অবশেষে সকলকে নিয়ে নবীজী নেমে পড়েন। সন্ধ্যা হলে যয়নব ইবনেতে জাহাশকে বললেন, যয়নব! তুমি ছফিয়্যাকে একটি উট দাও। যয়নব বললেন, আমি কি এ ইহুদী নারীকে আমার উট দেবো? তার এ উক্তি হযরতের নিকট অত্যন্ত অসহ্য লাগে। এতে তিনি এতটা অসন্তুষ্ট হন যে, ২/৩ দিন পর্যন্ত হযরত যয়নবের সাথে তিনি কথা পর্যন্ত বলেননি। এর পর হযরত আয়েশা বড় কষ্টে মাফ করিয়ে নেন। (উসুদুল গাবাহ ৫ম খ- ৪৯২ পৃ.)
ইসলাম গ্রহণের পর ইহুদীপনার অভিয়োগ তার জন্য ছিল অত্যন্ত পীড়াদায়ক। তার প্রতি এ ধরণের টিপ্পনী কাটা হলে মাঝে মধ্যে তিনি রীতিমত মর্মাহত হতেন। একবার নবীজী ঘরে এসে দেখেন, হযরত ছফিয়্যা কাঁদছেন। কারণ জিজ্ঞেস করলে, বললেন: আয়শা ও যয়নব বলেছে, সমস্ত নারীদের মধ্যে তারা উত্তম। কারণ তারা স্ত্রী ছাড়াও চাচাতো বোন। নবীজী তার মন জয় করার জন্য বললেন, তুমি কেন বললে না যে, আমার পিতা হারূন, চাচা মূছা এবং আমার স্বামী হচ্ছেন মুহাম্মাদ (সা.)। সুতরাং তোমরা কি করে উত্তম হবে? (আল ইস্তিয়াব ২য় খ- ৭৬৩ পৃ.)
রেওয়াতের বিচারে এ হাদীস সম্পর্কে কোন প্রশ্ন ওঠেনা। হয়তো নবীজী এমনটি বলেছেন। ইবনে সা‘আদ, হাফেজ ইবনে হাজার ইত্যকার সকল জীবন চরিতকার নিজ নিজ গ্রন্থে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। অবশ্য রেওয়াতের বিচারে এ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযীর অভিমত এই, এ হচ্ছে গরীব হাদীস। হাশেম সুফী? ব্যতীত অন্য কারো কাছে আমরা এটা শুনিনি। আর তার সনদ এমন নয়।
এ হাশেম কুফী? সম্পর্কে মুহাদ্দেসীনদের অভিমত ভালো নয়। তিনি ছিলেন সীমাহীন অল্পে তুষ্ট এবং দানশীল। ঐতিহাসিক ইবনে সা‘আদ বলেন, তার কেবল একখানা ব্যক্তিগত গৃহ ছিল আর তাও তার জীবদ্দশায় ছদকা করে দিয়েছেন। (তবকাত ৮ম খ- ৯২ পৃ.) যুরকানীর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, তিনি যখন উম্মুল মুমেনীন হিসেবে মদীনা আগমন করেন তখন ফাতেমা যাহরা ও আযওয়াজে মুতাহহারাতের মধ্যে তিনি স্বেচ্ছায় তার স্বর্ণের চুরি বণ্টন করে দেন। (যুরকানী ৩য় খ- ২৯৬ পৃ.)
অপরের প্রতি সহানুভূতি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ছিল তার মধ্যে। হিজরী ৩৫ সালে উসমান গণী (রা.) আপন গৃহে আবদ্ধ হয়ে পড়েন এবং খাদেমকে সাথে নিয়ে খচ্চরে আরোহন করে তার গৃহাভিমুখে রওয়ানা করেন। আশতার নাখয়ী দেখতে পেয়ে খচ্চরের উপরে হামলা করে বসে। আশতার নাখয়ীর বিরুদ্ধে সফল হতে পারবেন না। তাই তিনি ফিরে আসেন এবং নিজের স্থানে হযরত হাসানকে এ খেদমতে নিয়োগ করেন। (আল ইসাবাহ ১ম খ- ১৩৭ পৃ.)
সকল জীবন চরিতকার তার চরিত্র-মাধুর্যের প্রশংসায় উচ্চকিত। আল্লামা ইবনে আব্দুল বার লিখেন, ছফিয়্যা বুদ্ধিমতি, মর্যাদাশীলা এবং ধৈর্যের অধিকারিণী ছিলেন। (আল ইস্তিয়াব ২য় খ- ৭৬৩ পৃ.)
ইবনে কাসীরের অভিমত হচ্ছে: স্ত্রীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতি। (উসুদুল গাবাহ ৫ম খ- ৪৯০ পৃ.)
গুণ-বৈশিষ্ট
অন্যান্য স্ত্রীদের মতো হযরত ছফিয়্যাও ছিলেন জ্ঞানের খনি। অধিকন্তু লোকেরা তার কাছে মাসআলা জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হতো। ছহীরা ইবনেতে হায়ফার হজ্জ্ব সম্পন্ন করে হযরত ছফিয়্যার সাথে সাক্ষাত করার জন্য মদীনা পৌঁছে দেখেন যে, কুফার একদল মহিলা মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য তার কাছে উপস্থিত হয়েছেন, আর তিনি সুন্দরভাবে সকলের জিজ্ঞাসার জবাব দিচ্ছেন। (মুসনাদে আহমদ ৩য় খ- ৩৩৭ পৃ.)
হযরত ছফিয়্যা থেকে কয়েকটি হাদীসও বর্ণিত হয়েছে। ইমাম যয়নুল আবেদীন, ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হারেস, মুসলিম ইবনে ছায়ওয়ান, কেনানা এবং ইয়াযিদ ইবনে ম‘তাব প্রমুখ এসব বর্ণনা করেছেন। (আল ইসাবাহ ২য় খ- ৬৬৯ পৃ.)
ওফাত
হিজরী ৫০ সালে ৬০ বৎসর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন। জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে ওসিয়ত করেন যে, আমার পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ আমার ভাগ্নেকে দেবে।
ঐতিহাসিক ইবনে সা‘আদ লিখেন যে, তিনি এক লক্ষ দিরহাম রেখে যান। ধর্মীয় বিরোধের কারণে তার এ ওসিয়ত পালনে ইতস্ত করা হয়। কারণ তার ভাগ্নে ছিল ইহুদী। কিন্তু হযরত আয়েশা যখন এ মর্মে লোক পাঠিয়ে জানান যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং হযরত ছফিয়্যার ওসিয়ত পূরা কর, তখন তার ওসিয়ত কার্যকর করা হয়। (তবকাত ৮ম খ- ৯২ পৃ.)

Related Post