Main Menu
أكاديمية سبيلي Sabeeli Academy

পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ

oju-320x198[1]পবিত্র অর্থ পূত, বিশুদ্ধ, নিষ্পাপ। ইংরেজিতে বলা হয় ঢ়ঁৎব, যড়ষু। আরবিতে বলা হয় তাহারাত। তাহারাত ব্যাকরণ অনুসারে ‘মাসদার’ এবং অর্থ পবিত্রতা। আনুষ্ঠানিক ও সাধারণ পবিত্রতা ও পবিত্রকরণের পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইসলাম ধর্মে পবিত্রতা একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। কারণ পবিত্রতা ঈমানের অর্ধাংশ। আবু মালিক আশয়ারি রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘পবিত্রতা অর্জন করা হচ্ছে ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮১, বাংলা মিশকাত হা/২৬২)। তিনি আরো বলেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো সালাত এবং সালাতের কুঞ্জি পবিত্রতা।’ (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি, দারেমি, ইবনে মাজা, মিশকাত/৩৯ ও ৪০ পৃ:)।

মোজাদ্দেদে উলুম ইমাম নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান রহ: বলেন, মানুষের ভেতরে ও বাইরে উভয় প্রকার তাহারাতই অর্ধেক ঈমান। এই তাহারাতের চারটি স্তর আছে ১. আল্লাহ ছাড়া দিলের মধ্য থেকে অন্য সব রকম ময়লা দূর করা। যাতে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ভাব মানবের অন্তরে মজ্জাগত হয়ে যায়। এটা হলো সিদ্দিকীদের তাহারাত এবং এই পবিত্রতা হলো অর্ধেক ঈমান। ২. দিলকে নাপাক স্বভাব যেমন হিংসাবিদ্বেষ, লালসা, শত্র“তা ও অহঙ্কার প্রভৃতি থেকে পাক করা এবং সৎ গুণ যথা নম্রতা, ভদ্রতা খোদাভীতি, সবর ও প্রেমপ্রীতি দ্বারা সজ্জিত করা। এটা হলো মুত্তাকিদের তাহারাত। উল্লিখিত কুস্বভাব থেকে পাক হওয়া অর্ধেক ঈমান। ৩. অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোকে গোনাহ থেকে পাক রাখা যেমন গিবত করা, মিথ্যা বলা, হারাম খাওয়া, হারাম জিনিস দেখা প্রভৃতি। এটা হলো সৎ লোকদের তাহারাত। এসব হারাম জিনিস থেকে শরীরকে পাক রাখা অর্ধেক ঈমান। ৪. সমস্ত শরীর ও লেবাস-পোশাককে সব রকম নাপাক জিনিস থেকে পাক রাখা এবং সালাতের রুকন যথা রুকু, সেজদা প্রভৃতি দ্বারা শরীরকে শোভিত করা। এটা হলো সর্বসাধারণ মুসলমানদের পবিত্রতা। কারণ মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্যই হলো এই সালাত। সুতরাং এই পবিত্রতাও অর্ধেক ঈমান। (বাজলুল মানফায়াহ লেয়িজা-হিল আরকা-নিল আরবায়াহ/পৃ: ৯, আইনি তোহফা সলা-তে মোস্তফা, প্রথম খণ্ড/১৮)। আর পরিষ্কার, পরিপাটি, নির্মল অবস্থাকে বলে পরিচ্ছন্নতা। দেহ, মন, পোশাক, স্থান বা পরিবেশের বিশেষ পদ্ধতিতে অর্জিত পরিচ্ছন্নতা ও নির্মলতাকে পবিত্রতা বলা হয়। সংপ্তি ইসলামী বিশ্বকোষে আছে ‘আলিমগণ পবিত্রতাকে দৈহিক ও মানসিক এই দু’ভাগে ভাগ করেন এবং তাঁহারা ইহাকে প্রকৃত (হাকিকি) ও ধর্মীয় (হুকমি) এই দু’ভাগে বিভক্ত করেন। ফিকাহ শাস্ত্র দৈহিক পবিত্রতার বিষয়ই বর্ণনা করিয়া থাকে। স্ত্রী সহবাস, ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসব অপবিত্রতা। প্রকৃত অপবিত্রতার (নাজিস দ্র.) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য আকার বিদ্যমান। ইহারা মদ্য, শূকর ও কুকুর এবং এইগুলি হইতে উৎপন্ন সমুদয় বস্তু; মৃতদেহ (মানুষ, খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত প্রাণী, যেসব প্রাণীর দেহে রক্ত নাই যেমন কীটপতঙ্গের দেহ ছাড়া) এবং মলমূত্র ইত্যাদি। পাঁচটি বস্তু অপবিত্র নহে ইহারা হইতেছে : ময়লা ধৌত করার পর ধৌত স্থানে ময়লা নাই কিন্তু ময়লার দাগ রহিয়াছে তাহা, পথের ধূলি ও কাদা, জুতার তলদেশ (এই দুইটিতে নাপাকী নাই সাধারণত এই অবস্থার), রক্তশোষী কীটের উদর পূর্তির পর নিঃসরিত রক্ত এবং ফোড়া, ফুসকুড়ি বা রক্ত মোণে নির্গত রক্ত বা পুঁজ যদি প্রবাহিত না হয়। অশ্র“, ঘর্ম, থুথু এবং শ্লেষ্মা পবিত্র।’ পবিত্রতা মানুষের মন ও দেহে পরিতৃপ্তির সৃষ্টি করে। ভালো ও কল্যাণকর কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতাকে ভালোবাসেন। যারা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র থাকে সবাই তাদের ভালোবাসে। পবিত্র মনের অধিকারী ব্যক্তি পাপ ও মন্দকাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে সম হয়ে থাকে। মনের পবিত্রতা যেমন একটি নিয়ামত, দেহের পবিত্রতাও অনুরূপ একটি নিয়ামত। ওজুর মাধ্যমে মানুষের দেহের পবিত্রতা অর্জন হয়ে থাকে। হজরত উসমান রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ওজু করে এবং সুন্দর করে ওজু করে, তার গুনাহসমূহ তার শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচ থেকেও বের হয়ে যায়। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৪, বাংলা মিশকাত হা/২৬৪)। আল্লাহ পাকও পবিত্র মানুষকে ভালোবাসেন। মন ও দেহকে পবিত্র রাখতে পারলে মানুষ অন্যায় ও অপকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখতে সম হয়ে থাকে। পবিত্র মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুপম ও অনিন্দ্যসুন্দর হয়ে থাকে। তার আচার-ব্যবহার, কাজ-কর্ম, অঙ্গশৈলী মাধুর্যমণ্ডিত হয়ে থাকে। আল্লাহভীতি বৃদ্ধি ও ফাহেশা কর্মে নির্লিপ্ততার মাধ্যমে ঈমানে পরিপক্বতা এসে থাকে। পবিত্রতা ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। কেননা অপবিত্র ও অপরিচ্ছন্ন দেহ-মনের এবাদত আল্লাহ পাক কবুল করেন না। গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সালাত আদায় করার জন্য শরীর, পোশাক ও স্থান তথা পরিবেশ পবিত্র হওয়া অপরিহার্য। যেসব আমলের মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়, ওজু তার অন্যতম। আল্লাহ তায়ালা ওজু করে পবিত্রতা অর্জনের আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হও তখন (সালাতের আগে) তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত করো এবং হাতগুলোকে কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও, আর মাথা মাসেহ করো এবং পা গুলোকে টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে ফেল; …আল্লাহ তোমাদের ওপর কোনো সঙ্কীর্ণতা আনয়ন করতে চান না, বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে ও তোমাদের ওপর স্বীয় নিয়ামত পূর্ণ করতে চান, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সূরা আল মায়েদা : ৬)। সালাত, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াতের মতো মৌলিক ইবাদতের জন্য পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতাকে ইসলাম ধর্মে পূর্বশর্ত করা হয়েছে। অনুরূপভাবে অন্যান্য ইবাদতেও পরিচ্ছন্নতা ছাড়া একাগ্রতা আসে না। পবিত্র ও পরিচ্ছন্নচিত্তে কাজ করতে পারলে সে কাজে মনোনিবেশ প্রগাঢ় হয়ে থাকে। আমরা প্রতিদিনই নানা রকম কাজ করে থাকি। হাত, পা, শরীর ও কাপড় ময়লা হয়ে যায়, ধুলোবালু লাগে। ঘামে শরীর ভিজে দুর্গন্ধ হয়। লোকে ঘৃণা করে। মুখ দিয়ে খাবার খাই, দাঁতে ময়লা লাগে। দাঁত-মুখ পরিষ্কার না করলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এ অবস্থা মানুষের কাছে অপছন্দনীয়, অপর দিকে অকালে দাঁত নষ্ট হয়ে যায়। দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য দাঁত মাজন করা এবং ওজু করার আগে দাঁত মেসওয়াক করতে হয়। এসবের কারণ মানুষকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখা। পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা ছাড়া সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা থাকে না ও ইবাদত কবুল হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে রাসূল সা: যখন তাঁর গৃহে প্রবেশ করতেন তখন তিনি প্রথমেই মেসওয়াকের দিকে অগ্রসর হতেন। (মুসলিম, তাহারা:, হা/৪৩; আবু দাউদ তাহারা: বাব/২৭)। সালাত আদায়ের প্রস্তুতির জন্য ওজুর আগে প্রধানত মেসওয়াক ব্যবহার করা হয়। এটাই রাসূলুল্লাহ সা:-এর রীতি ছিল। (মুসলিম, তাহারা: হা/৪৮)। রাসূল সা: মেসওয়াকের প্রতি এত বেশি উপকারিতা আরোপ করতেন যে, তাঁর উম্মতের জন্য অতিরিক্ত ভার হবে এরূপ আশঙ্কা না করলে তিনি প্রত্যেক সালাতের আগে মেসওয়াক করা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করতেন। (বুখারি, আজান, বাব/৮; মুসলিম তাহারা: হা/৪২; আবু দাউদ তাহারা: বাব/২৫; তিরমিজি, তাহারা: বাব/১৮)।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখো, অপবিত্রতা হতে দূরে থাকো।’ (সূরা আল মুদ্দাচ্ছির- ৪ ও ৫)। পোশাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি ব্যবহার্য অন্যান্য সামগ্রী ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাও দরকার।

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই রাসূল পাক সা: এরশাদ করেছেন ‘পানির ঘাটে, রাস্তার মাঝে, বৃরে ছায়ায় মলত্যাগ হতে বিরত থাকবে।’ (মিশকাত)।

হিংসা, লোভ, ক্রোধ, কাম, গিবত, ফাসাদ, ইত্যাকার পাপের কারণে অন্তর অপরিচ্ছন্ন হয়। অন্তর অপবিত্র ও অপরিচ্ছন্ন থাকলে, তার থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। পবিত্র ও নির্মল অন্তরের অধিকারী ব্যক্তির কর্মকাণ্ড উত্তম ও সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে থাকে। অপবিত্র ও অপরিচ্ছন্ন অন্তরে আল্লাহভীতি ও অন্যায় কর্মের জন্য মনে অস্বস্তি বোধ থাকে না। ফলে তারা যা খুশি তাই করতে পারে। পান্তরে পবিত্র ও কালিমামুক্ত অন্তরের মানুষ তাদের কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করে থাকে। খারাপ কিছু করার চিন্তা তারা করতে পারে না। এ জন্য আমাদের প্রত্যেককে নিজের অন্তর বা কলবকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। অন্তরে রোগ হলে পুরো জীবনটাই বরবাদ হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেন ‘মানবদেহে এক টুকরো গোশত আছে যা পরিচ্ছন্ন হলে সমগ্র দেহ পরিচ্ছন্ন এবং খারাপ হলে সমগ্র দেহ খারাপ হয়ে যায়।’ সেই গোশত টুকরা কলব বা অন্তর। অন্তর অপবিত্র-অপরিচ্ছন্ন হলে দেহও অপবিত্র হয়ে যায়। তাই ইসলাম মনের পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সবিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। মনের পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয় নেক আমলের মাধ্যমে। নেক বা ভালো কাজ করলে মন ভালো হয়। মনকে পবিত্র রাখতে পারলে মন্দ কাজ করার ব্যাপারে অন্তরের সায় পাওয়া যায় না। ভালো কাজে মনকে সম্পৃক্ত রাখতে হলে অন্তরকে জিকির-আজকারে সম্পৃক্ত রাখতে হয়। আল্লাহকে স্মরণ করলে শয়তানি অসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকা যায়। আল্লাহ পাক বলেন, জেনে রেখো। আল্লাহ স্মরণে আত্মা প্রশান্ত হয়।

আবু হুরায়রা রা: বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলবে  লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অ-হদাহু লা-শারিকালাহু লাহুল মুলকু অ-লাহুল হামদু অ-হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই প্রশংসা এবং তিনিই হচ্ছেন সমস্ত বিষয়ের ওপর মতাবান। ওই ব্যক্তির দশটি গোলাম আজাদ করার সমান নেকি হবে। তার জন্য আরো ১০০ নেকি লেখা হবে এবং ১০০ গুনাহ মাফ করা হবে এবং এ বাক্য তাকে ওই দিনের জন্য শয়তান হতে রাকবচ হবে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং সে যা করছে তা অপো অধিক আমল করবে।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩০২; বাংলা মিশকাত হা/২১৯৪)।

জিকিরের মধ্যে সময় কাটালে শয়তান মানুষকে কোনো তি করতে পারে না। মানুষ কোনো অপরাধে জড়িয়েও পড়তে পারে না। অন্তরে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। আল্লাহও মানুষকে পাপমুক্ত করেন এবং নেকি প্রদান করেন। আর এভাবে জীবন গড়তে পারলে চরিত্রবান হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যাবে। অর্থসম্পদ, মতা-দাম্ভিকতা মানুষের পরিচয় বহন করে না। চরিত্রই মানুষের আসল পরিচয় দেখিয়ে দেয়। অনেক সাধনার পর সচ্চরিত্রবান হওয়া সম্ভব। যিনি সচ্চরিত্রের অধিকারী তিনি সমাজের অহঙ্কার ও প্রজ্বলিত দীপশিখা। মহান আল্লাহ রাসূল সা:-এর স্বভাবের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছেন। যদি আপনি রু স্বভাব ও কঠোরপ্রাণ হতেন, তবে তারা আপনার কাছ থেকে বিপ্তি হয়ে যেত। অতএব আপনি তাদের প্রতি মা প্রদর্শন করুন, তাদের জন্য মা প্রার্থনা করুন এবং তাদের সাথে কাজকর্মে পরামর্শ করুন। (আল ইমরান-১৫৯)।

আবদুল্লাহ ইবনু আমর রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: বলেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বাপো উত্তম যে চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম। (বুখারি, রিয়াজ: দারুস সালাম, ১৯৯৯ ইং, হা/৬০৩৫)। আল্লাহ পাক আমাদের বাহ্যিক অভ্যন্তরীণ সর্বপ্রকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। কেননা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি, আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতা ও মানবকুলের নিকট আদরনীয়। আর অপরিচ্ছন্ন ব্যক্তি সবার নিকট ঘৃণীত ও নিন্দনীয়। পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন মন নিয়ে সবার সাথে শিষ্টাচারপূর্ণ সুন্দর আচরণ করি। নৈতিক চরিত্রের বিকাশ ঘটাই। তবেই মানবতার জয় ঘোষিত হবে। ভালো ও পূতপবিত্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

Related Post