যাকাতের নেসাব কাকে বলে ?
নেসাব বলা হয় সম্পদের ঐ নির্দিষ্ট পরিমাণ কে যার উপর শরীয়ত যাকাত ফরজ করেছে।
যাকাত ফরজ হওয়ার নেসাব কি ?
রূপার হিসাবে নেসাবের পরিমাণ হচ্ছে ২০০ দিরহাম যা আমাদের যুগের হিসাবে সাড়ে বায়ান্ন তোলা চাঁন্দি। আর স্বর্ণের নেসাব হল সাড়ে সাত ভরি। বা তার সমপরিমাণ নগদ টাকা যদি জমা থাকে এবং সে ঋণগ্রস্হ’ না হয়।
যাকাত আদায় হওয়ার শর্ত:
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সমূহ ছাড়া ও যাকাতের মাল হকদার কে দেওয়া এবং দেওয়ার সময় যাকাতের নিয়ত করা,যাকে দিবে তাকে মালিক বানিয়ে দেওয়া যাকাত আদায় হওয়ার শর্ত।
যাকাত কাকে দিতে হয় ?
আল্লাহ পাক কোরআনে আট প্রকারের লোক কে যাকাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের ছাড়া অন্য কাউকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। তারা হল-
১) মুসলমান ফকীর।
২) মিসকীন যার কাছে কিছুই নেই।
৩) যাকাত আদায়কারী (যাকাত আদায় করার কাজে যে নিয়োজিত)।
৪) নতুন মুসলমান যাদের মনোরঞ্জনের প্রয়োজন ।
৫) দাস মুক্তির জন্য ।
৬) ঋণগ্রস’দের ঋণপরিশোধকল্পে ।
৭) আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য ।
৮) ঐ মুসাফির যে সফরে শূণ্য হাত হয়ে গেছে।(সূরা তাওবা)
যাকাতের শর’য়ী হুকুম
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত হচ্ছে তৃতীয় স্তম্ভ। যে যাকাত দিতে অস্বীকার করবে সে কাফির (অবিশ্বাসী) বলে গণ্য হবে। হিজরী দ্বিতীয় বর্ষের পর থেকে যাকাত ফরয করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে একাধিকবার যাকাত দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। যেমন “তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর ও যাকাত দাও এবং যারা রুকু করে তাহাদের সহিত রুকু কর ” (সূরা বাকারা ৪৩)। পবিত্র কুরআনে আরও উল্লেখ আছে, “ তাদের (ধনীদের) সম্পদে হক নির্ধারিত আছে- প্রার্থী ও বঞ্চিত নির্বিশেষে সকলের জন্য ”। (সূরা মাআরিজ ২৪-২৫)
যাকাত ফরজ হওয়ার যৌক্তিকতা
মুসলিম সমাজের জন্য যাকাত প্রদান অপরিহার্য। কেননা, ইহা আর্থিক ও আত্মিক উভয় প্রকারে তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে। ইহা দুঃখমোচন করে। অন্তরের লোভ-লালসা থেকে মুক্ত রেখে ইসলামী অর্থনীতিকে সুসংহত করে, উহাকে সুদৃঢ় ও উন্নতির দিকে পরিচালিত করে। চলবে