তাকওয়া সৎ পথের সন্ধান দেয়

নুমান ইব্ন বাশীর রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু

নুমান ইব্ন বাশীর রাদি আল্লাহু তাআলা আনহু

‘তাকওয়া’ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে খোদাভীতি, পরহেজগারি, বিরত থাকা, বেঁচে থাকা, আত্মশুদ্ধি প্রভৃতি। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে তাঁর যাবতীয় বিধিবিধান মেনে চলার নাম তাকওয়া। আর আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতা ও পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক বিষয় হলো তাকওয়া। অর্থাৎ আল্লাহর ভয় সর্বদা অন্তরে জাগরুক রাখা, তাঁর শাস্তির কথা স্মরণ করা এবং তাঁর অসন্তুষ্টি ও পাকড়াওয়ের কথা মনে করা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘যারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে, তাদের ভয় হওয়া উচিত যে, তাদের ওপর কোনো বিপদ এসে পড়ে কিংবা তাদের ওপর কোনো যন্ত্রণাদায়ক আজাব নাজিল হয়’ (সূরা নূর : ৬৩)।
তাকওয়া মানুষকে গর্হিত কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে এবং সৎ পথে পরিচালিত করে। আল্লাহর কাছে তাকওয়াবান মানুষ অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাবান। এরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত’ (সূরা হুজরাত : ১৩)। তাকওয়া তথা খোদাভীতি ছাড়া কোনো মানুষ সত্যিকার মানুষ হতে পারে না। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বারবার বলেছেন, আমাকে ভয় করো। এরশাদ হচ্ছে : ‘মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামীকালের জন্য সে কী প্রেরণ করেছে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করতে থাকো। তোমরা যা করো, আল্লাহ তায়ালা সে সম্পর্কে খবর রাখেন’ (সূরা হাশর : ১৮)। আলোচ্য আয়াতে ‘গাদান’ আরবি শব্দের অর্থ আগামীকাল। মোফাসসিরেরা যার তিনটি অর্থ করেছেন। (১) সমগ্র ইহকাল পরকালের মোকাবেলায় স্বল্প ও সংক্ষিপ্ত অর্থাৎ এক দিনের সমান। হিসাব করলে এক দিনের সমান হওয়াও কঠিন। কেননা পরকাল চিরন্তন, যার কোনো শেষ ও অন্ত নেই। মানববিশ্বের বয়স তো কয়েক হাজার বছরই বলা হয়। যদি আকাশমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি থেকে হিসাব করা হয়, তবে কয়েক লাখ বছর হয়ে যাবে। তবুও এটা সীমিত সময়কাল। অসীম ও অশেষ সময়কালের সাথে এর কোনো তুলনাই হয় না। (২) কিয়ামত সুনিশ্চিত, যেমন আজকের পর আগামীকালের আগমন সুনিশ্চিত, কেউ এতে সন্দেহ করতে পারে না। এমনিভাবে দুনিয়ার পরে কিয়ামত ও পরকালের আগমনে কোনো সন্দেহ নেই। (৩) কিয়ামত অতি নিকটবর্তী।
আজকের পর যেমন আগামীকাল দূরে নয়-খুব নিকটবর্তী, তেমনি দুনিয়ার পর কিয়ামতও খুব নিকটবর্তী। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে সবাইকে হাজির হতে হবে এবং দুনিয়াবি প্রতিটি কর্মের পরিপূর্ণ হিসাব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ ধনী-গরিব, রাজা-বাদশাহ, আমির-ওমরাহ, কালো-সাদা, মোটা-চিকন কারো সাথে বিন্দুমাত্র জুলুম করবেন না। যেহেতু আমাদের মউতের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, সাড়ে তিন হাত জায়গায় শুতে হবে, সেহেতু প্রত্যেক বিবেকসম্পন্ন মানুষের উচিত আল্লাহকে সাধ্যমতো ভয় করা। কারণ ভয়মিশ্রিত এবং লৌকিকতামুক্ত ইবাদত আল্লাহর দরবারে সহজেই কবুল হয়। কোনো ব্যক্তির অন্তরে যদি সর্বদা ভয় বিরাজ করে তাহলে সে ব্যক্তির দ্বারা কখনো অন্যায় ও অশ্লীল কাজ সংঘটিত হতে পারে না। এ জন্য আল্লাহ কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা বর্ণনাপূর্বক বান্দাকে এভাবে ভয় দেখিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় করো। নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার। যেদিন তোমরা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল অথচ তারা মাতাল নয়। বস্তুত আল্লাহর আজাব সুকঠিন’ (সূরা হজ : ১ ও ২)। আল্লাহকে ভয় করা উচিত এ জন্য যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের লিপিবদ্ধ করার জন্য আমাদের দুই কাঁধে দু’জন প্রহরী নিযুক্ত আছেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত নিয়োজিত থাকবেন। তাদের কোনো ঘুম নেই, আহার নেই, নেই কোনো বিশ্রামÑ আমরা রাতের আঁধারে, নির্জন ঘরে, নিঃস্তব্ধ পরিবেশে এবং দিনের আলোতে বিশাল বিল্ডিংয়ের মধ্যে যা কিছু করি না কেন সব কিছুই ফেরেস্তাদ্বয় লিখে রাখেন।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে’ (সূরা কাফ : ১৮)। আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতিটি কর্ম দেখেন, শোনেন এবং বান্দার সব কর্মই আল্লাহর দরবারে একদিন হাজির করা হবে। এরশাদ হচ্ছে, ‘হে বৎস, কোনো বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় অতঃপর তা যদি থাকে প্রস্তরগর্ভে অথবা আকাশে, অথবা ভূগর্ভে, তবে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ গোপন ভেদ জানেন, সব কিছুর খবর রাখেন’ (সূরা লোকমান : ১৬)। কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে একটি কিতাব দেবেন, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। সেই কিতাবে বান্দা তার সৎ কর্ম এবং অসৎ কর্ম সব কিছুই দেখতে পাবে। আল্লাহ বলবেন, ‘পাঠ করো, তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্য তুমিই যথেষ্ট’ (সূরা বনি ইসরাইল : ১৪)। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের অন্যত্র এরশাদ করেছেন, ‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়। অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎ কর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কর্ম করলে তাও দেখতে পাবে’ (সূরা জিলজাল : ৬-৮)। তাকওয়াবান মানুষকে আল্লাহ ভালোবাসেন এবং আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন সর্বদা।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তো তাদের সাথে রয়েছেন, যারা তাকওয়াসহকারে কাজ করে এবং ইহসান অনুসারে আমল করে’ (সূরা নাহল : ১২৮)। তাকওয়া বা খোদাভীতি এমন এক বস্তু যা চোখে দেখা যায় না। এটা অন্তরের ব্যাপারে। অন্তর দিয়ে আল্লাহকে ভয় করতে হয়। তবে বান্দার কাজেকর্মে প্রকাশ পাবে সে সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে ভয় করে কি না। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রিয়নবী সা: এরশাদ করেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করবে না, তাকে অসহায় অবস্থায় পরিত্যাগও করবে না এবং তাকে তুচ্ছ জ্ঞানও করবে না। তিনি নিজের বুকের দিকে ইশারা করে বলেন, ‘তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে’ (মুসলিম শরিফ)। বান্দার মধ্যে যদি তাকওয়া না থাকে তাহলে পরকালে তার ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি, সন্তান-সন্ততি দিয়ে কোনো কাজ হবে না। খোদাভীতি না থাকলে সেই মানুষটি যতই সুন্দর চেহারাবিশিষ্ট হোক না কেন আল্লাহর কাছে তার বিন্দুমাত্র দাম নেই। অপর দিকে যেই বান্দা মনে-প্রাণে আল্লাহকে ভয় করে কিন্তু তার বাহ্যিক অবয়ব দেখতে খুবই বিশ্রী, আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তির মূল্য অনেক বেশি। এ জন্য হাদিস শরিফে প্রিয়নবী সা: এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের শরীর ও চেহারা সুরতের প্রতি লক্ষ করেন না, কিন্তু তিনি লক্ষ করেন কেবল তোমাদের অন্তরের দিকে’ (মুসলিম শরিফ)। অন্তর যার ভালো সে যদি কালোও হয় তবুও আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা ফেরেশতাদের চেয়েও বেশি। আর যার অন্তর কালো তার চেহারা যতই সুন্দর হোক না কেন আল্লাহর কাছে তার কোনো দামই নেই। তাই সর্বাগ্রে আমাদের অন্তর ভালো করা উচিত। এ জন্য আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং সর্বদা অন্তরে তাঁর স্মরণ বিদ্যমান রাখতে হবে। যুগে যুগে যারাই আল্লাহকে ভয় করেছিলেন তারাই আল্লাহর প্রিয়পাত্র হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নবী-রাসূলদের স্থান সবার ঊর্ধ্বে, এর পরে আল্লাহকে বেশি ভয় করেছেন সাহাবায়ে কেরাম। তাদের পরে তাবেঈ-তাবে তাবেঈগণ। এর পরে আউলিয়াকে কেরাম। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে। একটি বিষয় আমাদের সর্বদা চিন্তা করা উচিত যে, এই জীবন ক্ষণস্থায়ী। চিরস্থায়ী একটি জীবন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। মউতের পাকড়াও থেকে ফেরাউন, সাদ্দাদ, নমরুদ ও কারুনের মতো মহাক্ষমতাধর ব্যক্তিরাও রেহাই পায়নি এবং ভবিষ্যতে কেউ পাবে না। এর আগে আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী জাতি ছিল পৃথিবীতে।
কিন্তু তারা আল্লাহকে ভয় করেনি এবং তাঁর প্রেরিত নবীর কথা অমান্য করায় আল্লাহ তাদের এমন কঠিন শাস্তি দিয়েছেন, যার ফলে তাদের চিহ্নটুকুও আজ অবশিষ্ট নেই। আমরা শ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মত। কর্মের মাধ্যমেই আমাদের প্রমাণ করতে হবে আমরা শ্রেষ্ঠ। এ ক্ষেত্রে দুনিয়াবি জীবনের তুলনায় আখিরাতের জীবনকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, দুনিয়ার জীবন-সম্পদ খুবই নগণ্য। আর পরকাল একজন খোদাভীরু মানুষের জন্য অতিশয় উত্তম। আর তোমাদের প্রতি একবিন্দু জুলুম করা হবে না’ (সূরা নিসা : ৭৭)। প্রকৃত বুদ্ধিমান তারাই, যারা জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে আল্লাহকে ভয় করে, পরকালের শাস্তির জন্য। হজরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব রহ: থেকে বর্ণিত। একদা হজরত উমর ফারুক রা: হজরত উবাই ইবনে কাব রা: ও হজরত আবু হোরায়রা রা: প্রিয়নবী সা:-এর নিকট গিয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:! সবচেয়ে বড় আলেম কে?’ রাসূল সা: বললেন, ‘বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তারা আবার বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:। সবচেয়ে বড় আবেদ কে? রাসূল সা: বললেন, বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তারা বললেন, সবচেয়ে ভালো লোক কে? প্রিয়নবী সা: বললেন, বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তারা চতুর্থবার বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যে ব্যক্তির মানবতাবোধ, বাকপটুতা, দানশীলতা ও মর্যাদা পরিপূর্ণতায় পৌঁছেছে, সে কি বুদ্ধিমান নয়? জবাবে রাসূলুল্লাহ সা: পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন, অর্থাৎ ‘এসব তো পার্থিব জীবনের ভোগ-উপভোগ আর পরকাল তোমার প্রতিপালকের নিকট মুত্তাকিদের জন্য’ (সূরা জুখরুফ : ৩৫)। তাই প্রকৃত বুদ্ধিমান হচ্ছে মুত্তাকি বা পরহেজগার ব্যক্তি। যদিও সে পৃথিবীতে মানুষের কাছে মর্যাদাহীন ও তুচ্ছ হয় (তানজিহুশ শরিয়াহ, প্রথম খণ্ড, ২১৮ পৃষ্ঠা)।
যার মধ্যে তাকওয়া বা খোদাভীতি আছে তাকে আল্লাহ গর্হিত কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। তার প্রতি আল্লাহ খাস রহমত নাজিল করেন। হাদিস শরিফে, প্রিয়নবী সা: আরো এরশাদ করেন, আল্লাহর ভয়ে যখন বান্দার শরীর কম্পমান হয়, তখন তার পাপরাশি এইরূপে ঝরে পড়ে যেমন বৃক্ষ থেকে শুকনা পাতা ঝরে পড়ে। হাদিস শরিফে প্রিয়নবী সা: আরো এরশাদ করেছেন, আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি রোদন করে, সে দোজখে প্রবেশ করবে না, যেমন স্তন থেকে নির্গত দুগ্ধ পুনরায় স্তনে প্রবেশ করে না। আমিরুল মুমেনিন হজরত উমর ফারুক রা: আল্লাহর ভয়ে মাটিতে ঢলে পড়তেন। তিনি কুরআনের কোনো আয়াত শ্রবণ করলে মূর্ছিত হয়ে যেতেন। আল্লাহর ভয়ে তিনি এত অধিক পরিমাণে ক্রন্দন করতেন যে, অবিরাম ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হওয়ার কারণে তার গণ্ডদ্বয়ের ওপর দুটি কৃষ্ণবর্ণ রেখা পড়ে গিয়েছিল। সুবহানাল্লাহ! ইনি ছিলেন জান্নাতি সাহাবি। আল্লাহর নবীর একান্ত ভক্ত-অনুরক্ত। তার অবস্থা এরূপ হলে আমাদের বিবেক বোধ কি একটু জাগ্রত হবে না? আজকে সমাজ ও দেশে যেই অশান্তি-অরাজকতা বিরাজ করছে, নৈতিক অবক্ষয়ের চরম সীমায় যুবসমাজ উপনীত, এর মূলে হলো অন্তরে খোদাভীতি না থাকা। আর খোদাভীতি না থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব। বিদেশী সংস্কৃতি বা আকাশ সংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবলে আমাদের যুবসমাজ বর্তমানে ক্ষত-বিক্ষত। যার ফলে পরিবার ও সমাজ থেকে শান্তি নামক সোনার হরিণ আজ হারিয়ে গেছে। এর থেকে অবশ্যই আমাদের ফিরে আসতে হবে। আমরা কি ফিরে আসব না? পরকালের ব্যাপারে আমরা কেন এত উদাসীন? সময় কিন্তু ফুরিয়ে যাচ্ছে। মউতের সংবাদ নিয়ে আজরাইল আ: যেকোনো মুহূর্তে চলে আসতে পারেন। আসুন আমরা সময় থাকতে সতর্ক হই। আল্লাহকে ভয় করি। অসৎ পথ ছেড়ে সৎ পথে জানমাল উৎসর্গ করি। ভালো মানুষের সাথে উঠাবসা করি। তাহলেই পরকালে আমরা জান্নাতে প্রবিষ্ট হবো। অনাবিল সুখ ও শান্তির চিরস্থায়ী জীবন আমরা লাভ করতে পারব। = সমাপ্ত=

Related Post