মহর ও যৌতুক

womenবিয়ে হচ্ছে একজন নারী পুরুষের মধ্যকার শরয়ী বন্ধন: আর বিয়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে মহর, যা আমাদের দেশ কাবীন নামে পরিচিত। ইসলাম মহরকে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ হালাল হবার বিনিময় বলে ঘোষণা করেছে। তাই আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন; “নিজেদের সম্পদের বিনিময়ে তাদেরকে বিয়ে করা তোমাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে।” (সুরা নিসা: ২৪) এই মহর সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন; “মহর হচ্ছে সে জিনিস যার বিনিময় তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের গুপ্তাঙ্গ হালাল করে নাও।” (মুসনাদে আহমদ)

 বিয়েতে মহর প্রদান করা ফরয: আমরা নামায, রোজা, হজ্জ অন্যান্য আমল অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকি, কিন্তু মহরের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেই না, অথচ এসব মৌলিক এবাদতের মতোই আল্লাহ তা‘আলা এই মহরকে ফরয করেছেন। বস্তুত মহর বিয়ের জন্যে এমন একটি শর্ত, যা ছাড়া বিয়েই হয় না। মহর পরিশোধ করাকে কুরআনে গুরুত্ব এভাবে দিয়েছে; ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের থেকে যে স্বাদ গ্রহণ করো তার বিনিময়ে অপরিহার্য ফরয হিসাবে তাদের মহর পরিশোধ করে দাও।’ (সূরা নিসা:২৪)

এই মহরকে ইসলামী শরীয়তে স্বামীর উপর ফরয করে দিয়েছে: যারা মহর আদায়ের ব্যাপারে উদাসহীন,তাদের সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন; ‘যে লোক কোন নারীকে মহর দানের শর্তে বিয়ে করেছে, অথচ নিয়ত করেছে মহর পরিশোধ না করার, সে যিনাকারী বা ব্যভিচারী। এই মহর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কোন দান বা অনুগ্রহ নয়, এটা আল্লাহর দেওয়া হুকুম এবং স্ত্রীর প্রাপ্য অধিকার, স্বামী তার এই অধিকার কোনভাবে ক্ষুন্ন করতে পারবে না। কোন পুরুষ যদি মহর আদায় না করে স্ত্রীর সাথে মেল-মেশা করতে চায়, আর স্ত্রী অনুমতি না দেয়, তাহলে পুরুষটি স্ত্রী থেকে দূরে থাকতে বাধ্য। এই মহর স্ত্রীর অর্থনৈতিক অধিকার, স্ত্রীর হাতেই তা দিতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন; আর (দাম্পত্য জীবনে) তোমরা তাদের থেকে স্বাদ গ্রহণ করো ,তারি বিনিময়ে অবশ্য কর্তব্য ফরয হিসেবে তাদের মহর পরিশোধ করো।’ একই স্থানে আল্লাহ বলেন; ‘আর তোমরা কি করে সে অর্থ ফেরত নিতে পারো যখন তোমরা একজন আরেক জনের সঙ্গে যৌন স্বাদ সম্পন্ন করেছ? (সুরা নিসা রুকু:৩)

 
দেন মহর কি ভাবে পরিশোধ করা যাবেঃ  যদি কোন স্বামী অর্থাভাবের কারণে স্ত্রীর এই অধিকার এক সাথে আদায় করতে সক্ষম না হয়, তাহলে অল্প-অল্প করে আদায় করতে পারবে। স্বামী তার এই দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করার কোন প্রশ্নই আসে না। বরং ইসলাম তাকে মনের শান্তি বা মনের সন্তোষ সহকারে তা পরিশোধ করার আদেশ দিয়েছে; কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে ‘মনের সন্তোষ সহকারে (ফরয মনে করে) স্ত্রীদের মহরানা পরিশোধ করে দাও’ (সুরা নিসা: ৩)

কিন্তু স্বামী একত্রে সব মহর পরিশোধ করতে না পারলেও বাসর রাত্রে মহরের একটা অংশ অন্তত পরিশোধ করা উচিত। আর বাকীটার ব্যাপারে সমঝোতার ভিত্তিতে স্ত্রী স্বামীকে অবকাশ দিতে পারে।
মহর সম্পর্কে ইসলামের বিধান হচ্ছে;

১. মহরকে ফরয মনে করে পরিশোধ করতে হবে।

২. মহর পরিশোধ করতে হবে সানন্দে সন্তোষ সহকারে।

৩. বাসর রাত্রেই মহর পরিশোধ করা উচিত।

৪. স্ত্রী ইচ্ছা করলে মহর পরিশোধের জন্য স্বামীকে অবকাশ দিতে পারে।

৫. স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীকে পূর্ণ বা আংশিক মহর মাফ করে দিতে পারে।

৬. বাসর রাতে কিছু না কিছু মহর স্ত্রীকে প্রদান করা দরকার।

৭. মহর নগদ অর্থ এবং দ্রব্য সামগ্রীর মাধ্যমে ও দেয়া যায়।

৮. ইসলামী বিদ্যানগণ এ ব্যাপারে একমত যে, স্ত্রী মহরের দাবী প্রত্যাহার করে নেয়ার পর, পূণরায় তা দাবী করলে, স্বামী তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।
মহরের পরিমাণঃ – মহর নামায রোজার মতই ফরয, তাই এমনভাবে তা নির্ধারণ করতে হবে যাতে করে স্বামীর পক্ষে সহজে আদায় করা সম্ভব হয়। আর এমনভাবে নির্ধারণ করা যাবে না যা স্বামীর জন্য পরিশোধ করতে কষ্ট হয়। কারণ এই মহর কোন হাসি তামাশা বা খেলনার বিষয় নয়। এই জন্য উভয় পক্ষের সমোঝতার মধ্য দিয়ে পরিমাণ ঠিক করতে হবে। শরীয়ত মহরের কোন বিশেষ অঙ্ক বা পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয় নি। কারণ সকল মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এক রকম নয়। তাই স্বামীর অর্থের উপর নির্ভর করবে স্ত্রীর মহর। স্বামী যদি দরিদ্র অসচ্ছল হয় , তবে তিনি যে পরিমাণ পরিশোধ করতে সক্ষম তার বিয়েতে সে পরিমাণ মহরই নির্ধারণ হওয়া উচিত। কেননা মদিনায় হিজরত করার পর সাহাবায়ে কিরাম যখন অসচ্ছল অবস্থায় কালাতিপাত করছিলেন, তখন রাসূলে কারীম (সাঃ) সম্পূর্ণ নিঃস্ব একজন সাহাবীর নিকট কুরআন জানার বিনিময়ে একটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ‘কুরআনে যা কিছু তোমার জানা আছে, তা স্ত্রীকে শিক্ষা দেবে এরি বিনিময়ে আমি মেয়েটিকে তোমার নিকট বিয়ে দিলাম’ আরেক জন গরীব সাহাবীকে রাসূল (সাঃ) বলে ছিলেন; ‘মহরানা বাবদ তাকে কিছু দিতে চেষ্টা করো, তা যদি একটি লোহার আংটি ও হয়’। কুরআনে মজিদে বলা হয়েছে; ‘তোমরা যদি এক স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করার ইচ্ছে করে থাকো, তবে তাকে রাশি রাশি সম্পদ দিয়ে থাকলেও তার থেকে কিছুই ফিরিয়ে নেবেনা”(সুরা নিসা-২০) কুরআনের এই বাণী থেকে জ্ঞান অর্জন করা যায়, স্ত্রীকে অধিক পরিমাণ মহর দিতে পারে। এ বিষয়ে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “সর্বোত্তম পরিমাণের মহর হচ্ছে তা, যা পরিশোধ করা সহজসাধ্য”। আমরা ইসলামের সঠিক জ্ঞান থেকে দূরে সরে গেছি, তাই লক্ষ্য করা যায়, বর্তমানে বিয়েতে লক্ষ লক্ষ টাকার কাবিন লেখা হয়, কিন্তু তা পরিশোধ করা হয় না । 

মহরানা ও বর্তমান মুসলিম সমাজের অবস্থাঃ- আজ আমাদের সমাজে মহরানা যেমন করা হয়েছে, ঠিক এই অবস্থা জাহিলি সমাজে ও ছিল আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে জাহেলি যুগে মহরানা নিয়ে কন্যা পক্ষ আর বর পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি হতো, কেউ বলত বেশি কেউ বলত কম, এইভাবে অধিক পরিমাণ মহর নির্ধারিত হতো। কিন্তু অবশেষে মহর আদায় করা নিয়ে শুরু হতো নানারূপ জটিলতা ও ঝগড়া ঝাটি এবং বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটত। ঠিক আজও আমাদের সমাজে এই জাহেলি যুগের প্রথা লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে এই মহর ইসলামের হুকুমের নির্দেশ পালন না করে নিজেদের খিয়াল খুশি মতো তা নির্নয় করে এবং আদায়ের সময় তা উদাসহীনভাবে অবেহেলা করে। তাই দেনমহর মানুষ মনে করে বিবাহের খাতায় লেখা থাকলেই চলবে। কিন্তু কুরআন হাদীসে মহরের যে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে, তারা সেই গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিয়ের সময় প্রদর্শনীমূলকভাবে মহরের চুক্তি হয়ে থাকে মাত্র। কিন্তু এ চুক্তি কার্যকর করার কোন চিন্তাই তাদের মাথায় থাকে না। তারা এই বলে নিজেদের প্রচার করে, মহর কে বা দেয়? আর কে বা নেয়? লোকেরা কেবল তালাকের প্রতিবন্ধক হিসেবেই মহরের পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে। এতে কার্যত শরীয়ত প্রদত্ত নারী অধিকার খর্ব হয়। এখানে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কথা হলো মহরানা দেওয়া পুরুষের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ফরয করেছেন, বিনিময়ে স্ত্রীকে তার জন্য হালাল করে দিয়েছেন। তাই সমস্ত পুরুষদের প্রতি বিশেষভাবে আকুল আবেদন রইল; এখনও যারা এই ফরয কাজটি সম্পূর্ণরূপে আদায় করেননি, তারা আজই স্ত্রীর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে অল্প অল্প করে আদায় করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আমাদের সকল বিবাহিত পুরুষদেরকে এই কাজটি পালন করার তাওফীক দান করুন। আর যারা এই শুভ কাজটি এখনও করেননি তারা মহরের অর্থ হাতে নিয়ে শুভ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য অগ্রসর হোন।
যৌতুকঃ এই শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। এটা এক প্রকার দান বিশেষ। এ দান আজ-কাল বিয়ের জন্যে শর্ত হয়ে গিয়েছে। আজ আমাদের সমাজে এ বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সহিত দেখা হচ্ছে। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর উপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে যে অর্থ বা উপহার আদায় করা হয়, সেটাকেই যৌতুক বলে। এই যৌতুকের কারণেই স্ত্রীর উপর চলে নানা ধরনের অত্যাচার। প্রিন্ট মিডিয়া খুললেই দেখা যায়, যৌতুক দিতে অক্ষম , এ কারণে স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দিয়েছে, আগুনে পুড়ে মেরেছে। যৌতুক প্রতিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের অনুশাসন মেনে নিতে পারালেই এই যৌতুক নামে অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে কি কন্যা পক্ষ বরকে কিছুই দিতে পারবে না? উত্তর হলো; বিয়ের সময় কন্যাপক্ষ বরকে কি দিয়ে উপহার দেবে সে কথাটি আমরা হাদীস থেকে জেনে নিই।

 বিশ্ব নবী রাসূলে আকরাম (সাঃ) তাঁর কালিজার টুকরা হযরত ফাতিমাকে বিয়ের সময় যা দিয়েছেন, সেগুলো হলোঃ-

১. একটি পাড়ওয়ালা কাপড়

২. একটি পানির পাত্র

৩. একটি চামড়ার বালিশ

৪. যাঁতা (আটা পিসার জন্য)

৫. মাটির পাত্র ইত্যাদি।

আর এইগুলো দেওয়ার কারণ যেহেতু বিয়ের পর কন্যা নতুন করে সংসার গড়ে তোলার দায়িত্ব নিচ্ছে, সে হিসেবে নতুন সংসারের সূচনা লগ্নে পিতা বা আপন আত্মীয় এবং অভিভাবক কন্যাকে সংসারের নিত্য প্রযোজনীয় ব্যবহারের কিছু সামগ্রী দিতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে সামর্থের বাইরে প্রদর্শনীর জন্যে কিছু দেওয়া শরীয়ত বা ইসলাম কন্যার পিতাকে বাদ্য করেনি। এ ব্যাপারে তিনি যা করবেন তা নিজের সামর্থ অনুযায়ী করবেন।

যৌতুক দাবি করাঃ- আজকাল বরপক্ষ কন্যাপক্ষের নিকট চেয়ে বা দাবি করে যা আদায় করে নেয়, এমন কি বরপক্ষ এটাকে বিয়ের একটি শর্ত হিসেবে মনে করেন। কিন্তু ইসলাম এটাকে সামান্য পরিমাণ ও অনুমতি দেয়নি। ইসলামের বিধান অনুযায়ী বরই কন্যার সকল প্রকার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে। কনের যা কিছু প্রয়োজন বরই তা খরচ করবে। বরের জন্য খরচ করার কোন বিধান ইসলামে নেই। ইসলাম যেসব কারণে স্বামীকে স্ত্রীর উপর কতৃর্ত্ব ও মর্যাদা দিয়েছে , সে সম্পর্কে কুরআনুল কারীমে ঘোষণা করা হয়েছে। “পুরুষ নারীদের পরিচালক বা কর্তা । কারণ আল্লাহ তাদের একজনকে অপর জনের উপর বৈশিষ্টতা দান করেছেন। আর এ কারণে ও যে, পুরুষ (স্ত্রীর জন্যে) তার অর্থ সম্পদ ব্যয় করে”। (সূরা নিসা: ৩৪) এই আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায়, দাম্পত্য জীবনের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব স্বামীর। আর এ খরচ করার কারণেই তাকে স্ত্রীর উপর কর্তৃত্বশীল পরিচালক বানানো হয়েছে। এই যৌতুক এক সময় হিন্দু সমাজে চালু ছিল, কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় আজ মুসলিম পরিবারে এই হিন্দু প্রথা চালু রয়েছে, আর এমনভাবে চালু রয়েছে যা ছাড়া একটি মেয়ের বিবাহ হয় না। এই যৌতুক বরপক্ষ থেকে শর্ত দিয়ে দাবী করে আদায় করছে অথচ যৌতুক দাবী করার কোন অধিকার ইসলাম বরকে দেয়নি।
বর্তমান যৌতুকের অবস্থাঃ  এই যৌতুক এমন এক সামাজিক ব্যাধি যা ব্যক্তিকে অনেক নিকৃষ্ঠতম করে ফেলে। আজ সর্বদিক দিয়ে কোন মেয়েকে পছন্দ করার পর মেয়ের অভিভাবক কেবল যৌতুকের শর্ত পূরণ করতে না পারায় ছেলে উক্ত মেয়েকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকে, এমনটি আজ অহরহ ঘটছে। যৌতুক দাবী করার এ অধিকার পুরুষকে কে দিলো? বিয়ের জন্যে কোনো মুসলমান এমন অন্যায় ও অশোভনীয় শর্তারোপ করতে পারে না। এটা একমাত্র কন্যাপক্ষের উপর জুলুম বৈ কিছু নয়। পিতা তার মেয়ের নতুন সংসার করার জন্য কিছু দিতে পারেন কিন্তু দাবী বা জোর করে কিছু আদায় করা কোন অবস্থাতে ঠিক হবে না। এই যৌতুকের কারণে অনেক ঘরে যুবুতী মেয়েরা পিতার উপর বোঝা হয়ে বসে আছে, কিন্তু পিতা তাদেরকে বিয়ে দিতে পারছে না । অন্য দিকে যাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু বরকে যৌতুক না দেওয়ার কারণে কতো দাম্পত্য জীবন ভেঙ্গে খান খান হয়েগেছে। কতো সোনার সংসার বিষাদে পরিণত হয়েছে। আর অকালে কত জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে, কতো নারী নিজেদের জন্মকে ব্যর্থ মনে করছে। এই যৌতুকের কথা প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় বিভীষিকাময় তান্ডব লীলা। তাই বলব ও মুসলিম যুবকেরা আমরা কেন নিজের পায়ে না দাড়িয়ে অন্যের দিকে তাকাব। পরের দিকে না তাকিয়ে নিজেকে আগে গড়ি, তার পর বিয়ে করি। আমরা পুরুষ কেন মেয়ের বাপের অর্থের দিকে চেয়ে থাকব? তাই আসুন এই অভিশপ্ত যৌতুককে ঘৃণা করে সমাজ থেকে এই নিকৃষ্ট প্রথাকে চিরবিদায় দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসি। একটি যৌতুক মুক্ত সমাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি, তাহলেই সমাজ মুক্তি পাবে একটি জুলুমের কারাগার থেকে, শান্তি আর ভালবাসা থাকবে সংসার জীবনে। এই প্রত্যয় নিয়ে নারী-পুরুষ প্রতিটি যৌতুকলোভির বিরুদ্ধে এক আপোষহীন সংগ্রামে এগিয়ে আসি। আল্লাহ আমাদের এই অভিশপ্ত অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন

 

 

Related Post