ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার

মানুষ সামাজিক জীবন। সমাজ জীবনে প্রত্যেক মানুষই তার পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্প্রীতি ও সদ্ভাব বজায় রাখা ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা আবশ্যক। প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনের চেয়েও অধিক কাজে আসে। আত্মীয়-স্বজন সাধারণত কাছে থাকে না,প্রতিবেশীরাই বিপদাপদে,দুঃখ-দুর্দশায় প্রথমে এগিয়ে আসে। বিপদের সময় এ প্রতিবেশীরাই খোঁজ-খবর নেয় এবং সেবাযত্ন করে থাকে। সামাজিক সকল কাজে আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে প্রতিবেশীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

কুরআন কারিমে সব ধরনের প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন‘নিকট প্রতিবেশী,দূর প্রতিবেশী এবং সঙ্গী-সাথীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে। (সুরা নিসা : আয়অত ৩৬)

তাই প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া একজন মুসলমানের ঈমানের পরিপন্থী কাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে,সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।(মিশকাত)

প্রতিবেশীর অধিকার
প্রতিবেশীর অধিকারের প্রসঙ্গে এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করেন,এ প্রতিবেশীর ওপর অপর প্রতিবেশীর কি অধিকার রয়েছে?রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রশ্নের উত্তরে বললেন-
১. যদি এক প্রতিবেশী অপর প্রতিবেশীর নিকট ধার (কর্জ) চায়,তাহলে তাকে কর্জ দেয়া;
২. যদি একে অপরকে দাওয়াত করে,তবে তা গ্রহণ করা;
৩. প্রতিবেশীর কেউ অসুস্থ হলে তার সেবা করা;
৪. যদি কখনো একে অপরের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে,তবে সাহায্য করা;
৫. প্রতিবেশীর বিপদের সময় দুঃখে সমবেদনা প্রকাশ করা;
৬. প্রতিবেশীর আনন্দের সময় তাকে মোবারকবাদ জানানো;
৭. প্রতিবেশীর মৃত্যু হলে জানাযায় অংশগ্রহণ করা;
৮. প্রতিবেশীর অনুপস্থিতিতে তার বাড়ি-ঘর পরিবার-পরিজনের হিফাজত করা। প্রতিবেশীর অনুমতি ব্যতিত উঁচু বাড়ি নির্মাণ না করা।

সুতারাং
এক প্রতিবেশী প্রতি অন্য প্রতিবেশীর অধিকার আদায়ে পরস্পর আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকা মুমিনের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিবেশীর অধিকার আদায়ে কুরআন-সুন্নাহর নীতি অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

Related Post