কেন চোখের জলে ভিজিয়ে……

Untitled-1

কান্না। ছোট্ট একটি শব্দ। মনূষ্য জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই কান্না। মানব সন্তান হিসেবে জন্মের সাথে সাথে আমরা আমাদের কান্নার আওয়াজ দিয়েই বিশ্বকে জানান দিয়েছিলাম যে, আমি এসেছি, আমি সদর্পে উপস্থিত হলাম তোমাদের মাঝে! জন্মের পরমহুর্তে আমি কেঁদে উঠেছিলাম বলেইনা আমার মমতামীয় মা, আমার আত্বীয় স্বজন, সেদিন তৃপ্তির হাঁসি হেঁসেছিলেন। আনন্দের হাঁসি! কবি কত সুন্দর করেই না চিত্র এঁকেছেন কাব্যে। দুর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে সেই বিখ্যাত পংক্তিটি হুবহু মনে নেই, তবে খুব সম্ভবত এরকমই হবে,

এ ভবে প্রথম তুমি এসেছিলে যবে

কেঁদেছিলে তুমি একা, হেঁসেছিল সবে

এমন জীবন তুমি করিবে গঠন

মরণে হাঁসিবে একা , কাঁদিবে ভূবন।

উদ্ধৃতিতে কোন ভূল হলে শ্রদ্ধেয় পাঠক দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন। তবে উক্ত পংক্তিটির মূল র্মমবাণী আমার ভূল হয়নি। আমার বিশ্বাস কোন পাঠকেরই ভূল হবার কথা নয়।

আমরা কাঁদি, মানুষই কাঁদে। ছোটকালে এই কান্নাইতো ছিল আমাদের সবচেয়ে মোক্ষম ও কার্যকর অস্ত্র! শিশূ হিসেবে আমাদের যে কোন অস্বস্থি-বিরক্তি, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, ব্যথা-বেদনা, যন্ত্রণা, সব কিছুই আমরা ঐ একটি অস্ফুট, কিন্তু বলাই বাহুল্য অতি পরিচিত শব্দ, কান্না দ্বারা প্রকাশ করলেই বাবা-মা ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা চেনা জানা যেই থাকুননা কেন, যথাশীঘ্র সকল কাজ ছেড়ে, ত্বরিৎ ক্ষিপ্রতায় ছুটে এসেছেন আমাদের অসুবিধা দুর করতে! আমাদের কান্নার কারু খুঁজে দেখতে! মা-বাবাতো ভেবেই অস্থির, যতক্ষণ না আমরা কান্না থামিয়েছি তাঁদের স্বস্তি নেই, আর বুড়ো দাদা-দাদীরাতো উঠোন পারের ওঘর  হতে হাঁক-ডাক শুরু করে দিয়েছেন;

‘আরে হলোটা কি? ও কাঁদছে কেন? ওকে তোমরা দেখছ না কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি বলে।

ছোটকালে মা-বাবার কাছে খেলনার বায়না ধরে না পেলে, বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাব, মা’র কাছে তার টাকা চেয়ে না পেলে, ক্রিকেট খেলার ব্যাট কিনব, তার টাকাটা না পেলে কিংবা ঈদে নতুন জামা-কাপড়ের বায়না মনমত না মেটানো হলে আমরা ক্ষোভে, অভিমানে কেঁদেছি। এই কান্না দিয়েই আমরা আমাদের বাবা মা’র মন গলিয়ে সবকিছু আদায় করেছি। এই দৃশ্য আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এতটাই পরিচিত যে, এগুলোকে আর আমাদের কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়না।

না হোক, না হওয়াটাইতো স্বাভাবিক। কারু কান্না আমাদের জীবনের সাথী. একে আমরা ছাড়তে চাইলেও সে কিন্তু আমাদেরকে ছেড়ে যেতে চায় না এবং যায়ও না। আমরা কাঁদি, আমাদেরকে কাঁদতেই হয়। আমরা দু:খ-বেদনায়, অভাবে-অনটনে, ব্যাথা-বেদনায় বা লাঞ্চণা-গঞ্জনায় কাঁদি।

শুধু কি তাই? আমরা আনন্দেও কাঁদি! অপ্রত্যাশিতভাবে আশাতীত সাফল্য বা প্রাপ্তিাতে আমরা হাঁসার বদলে আগে কাঁদি! স্কুল কলেজ বা ভার্সিটিতে ধারুাতীত ফলাফলে আমরা আবেগে-উল্লাসে কাঁদি, কান্না দিয়েই আমরা আমাদের সুখানুভূতি প্রকাশ করি। দীর্ঘ বিরহের অবসানে, দেশে দশে যুগে যুগে গুলাগ, গুয়ানতানামো, বেলমারশ্ বা আবুঘারিব থেকে মুক্তির আনন্দে মানুষ কাঁদে! স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, বাবা-মা,ভাই-বোনের সাথে মিলনে কাঁদে।

সুখে আনন্দে মুখের কোনে হাঁসির প্রলেপ লেগে থাকলেও আমাদের চোখে নামে আষাড়ের ঢল! ক্ষুদ্র বা বৃহত্তর পরিসরে আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক নিষ্পেষণে জর্জরিত জনগোষ্ঠি যখন মুক্তির সুনিশ্চিত আলো দেখে, তখন আসন্ন সে মুক্তির আনন্দে তারা হাঁসার বদলে আগে কেঁদে ফেলে।

অতিসম্প্রতি সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর সেখানে সাতটি দশক আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া মসজিদে যখন পুনরায় আজন ধ্বনীত হলো, দীর্ঘ সত্তর বৎসর কম্যুনিষ্ট যাঁতাকলে নিষ্পেষিত মুসলমান নারী-পুরুষদের আমরা দেখেছি আনন্দে আর আবেগে কাঁদতে!

সুদীর্ঘ পাঁচশত বৎসরের ব্যবধানে অনেক আঈনি লড়াই আর চড়াই উৎরাই পেরিয়ে স্পেনের মাটিতে এইতো সেদিন মুসলমানরা যখন নতুন মসজিদ উদ্বোধন ও তাতে নামাজ আদায় করলেন, সেদিনও তাঁদের অনেককেই কাঁদতে দেখেছি আনন্দে-আবেগে। অতএব আমাদেরকে কাঁদতেই হয়। আনন্দ- উল্লাসে অথবা ব্যাথা-বেদনা বা দু:খে-কষ্টে আমরা কাঁদি!

আমাদের মুরুব্বীরা অনেক সময় আমাদের দোওয়া করেন, আমাদের জীবনটা যেন সুখের হয়, সারাটা জীবন যেন আমরা সুখে শান্তিতে কাটাতে পারি। কেঁদে কেঁদে জীবন কাটানোর কথা কেউ বলেন না, চানও না, কিন্তু না চাইলেই কি হয়? চাই বা না চাই, আমাদের কাঁদতে হয়ই।

আপনার চার পাশের,খুব কাছের, একেবারে জানা শোনা লোকজনের দিকে একবার চেয়ে দেখুনতো, খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখলে দেখবেন, তাদের প্রায়ই সবারই চেহারায় একটা কান্না কান্না ভাব! দুর্দিনের বাজারে জীবনের ঘাঁনি টানতে টানতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন সবাই, আর যেন পেরে উঠছেন না! ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা!

যাদের অঢেল আছে বলে আমরা জানি, সেই তাদের জীবনেও কি সুখ আছে? না, নেই। তাদেরও বুকভরা কান্না আর হাহাকার! আরও হলো না কেন? আরও পেলাম না কেন? কারো বা ছেলে-মেয়েরা উচ্ছন্নে গেছে প্রাচুর্যের সয়লাবে ভেঁসে ভেঁসে, পসরা সাঁজিয়েছে হেরোইন আর মারিজুয়ানা সহ আরও নানা রকমের ড্রাগ্স্ এবং জুয়ার আসরে! মরফিন আর পেথেডিনের নীল ছোঁয়ায় আদরের সন্তানেরা মরীয়া হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে, ‘হেঁসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়’ গেয়ে গেয়ে।

কিন্তু না, হেঁসে খেলে জীবন যাচ্ছেনা ! তছনছ হয়ে যাচ্ছে সংসার, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রভাব-প্রতিপত্তি সবকিছু। সুখের কপাল এখন গড়ের মাঠ! সন্তাানদেরতো বটেই, বাবা-মা অভিভাবক সহ সকলের বুকেই এখন জমাট বেঁধে আছে একরাশ চাপা কান্না! যেন টোকা দিলেই সুনামীর প্রলয়ংকারী ঢেউ এর মত বেরিয়ে আসবে কান্না, কান্না, আর কান্না!

সেই চেপে রাখা কান্নারই কিছুটা ছবি ফুটে আছে কড়া মেকআপ আর মেঁকি হাঁসির প্রলেপ ভেদ করে। চেয়ে দেখূন আপনার চেনা জানা স্বজনদের দিকে, সমাজে ভি আই পি অথবা ভি ভি আই পি বলে পরিচিত ব্যক্তিদের দিকে, সবারই যেন ঐ একই অবস্থা।

জমিদার নন্দন রবীন্দ্রনাথ, যিনি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন, যিনি বিলাসী জীবন, বিশাল প্রাচুর্য, অগাধ ধন সম্পদ, বিত্ত-বৈভব আর জগৎজোড়া খ্যাতি, সবকিছু পেয়েও জীবনের শেষ প্রহরে, ক্রান্তি লগ্নে এসে এক পর্যায়ে গেয়ে উঠেছিলেন;

কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না শূকনো ধূলো যত

কে জানিত আসবে তুমি গো অনাহুতের মত।

না জানার কোন কারু তাঁর ছিলনা, প্রতিটি মানুষই খুব ভালো করেই জানে যে, জীবনে নিত্যঘটিত,অমোঘ সত্য মৃত্যু, সব সময়ই অনাহুতের মতই আসে। এ বাস্তব এবং নিত্য দৃশ্যমান অভিজ্ঞতা যে তাঁর ছিলনা তা নয়, আমাদেরও আছে, আমরা সকলেই সে সত্যকে জানি।

কিন্তু তার পরেও আমরা আছি এক কুহকী আবেশে মোহাচ্ছন্ন হয়ে। হেঁসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়’ গেয়ে গেয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেবার এক প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায়। আর এরই পাশাপাশি আমাদেরকে কেঁদে যেতে হচ্ছে, আমরা কেঁদে চলেছি নিয়তই, প্রকাশ্যে বা গোপনে। অনাহুত অতিথি আসার সময়তো হয়ে এলো, হয়ে এলো-ই বা বলি কেন? সে সময়তো হয়েই আছে। শুধু যে জিনিসটি হয়নি, তা হলো আমাদের বোধোদয়!

হ্যাঁ আমাদের বোধোদয় হয়নি, আমরা প্রায় অচেতনাবস্থায় ভূলেই আছি যে, আমাদের সেই অনাহুত অতিথি যে কোন মহুর্তে এসে দাঁড়াতে পারে আমাদের সামনে। আমরা মুসলমান, আলহামদুলিল্লাহ! আর সে কারণেই আমরা জানি সেই অতিথি এসে দাঁড়ালে আর এক মহুর্ত সময় দেবেনা আমাদের, একমহুর্ত সময় হবেনা আমাদের কাজ গুছিয়ে নেবার!

আল কুরআনের ভাঁষায় ‘লাওলা আক্ষারত্বানী ঈলা আজালীন ক্বারীব? ফা আস্সাদ্দাকা ওয়াকুনা মিনাস্ছলিহিন’ অর্থাৎ (আয় আল্লাহ আর একটু সময় দিলেনা কেন, তোমার উপরে ঈমানও আনতাম আর নেক আমলকারীদের মধ্যে শামীলও হয়ে যেতাম!) বলে যতই আক্ষেপ আর নিবেদন করা হোকনা কেন সেদিন, তাতে কোন লাভই হবেনা, তীল পরিমানও আর সময় পাওয়া যাবেনা।

তখনও হয়ত বাঁকি রয়ে গেছে পেনশনের পাওনা, বাঁকি রয়ে গেছে ব্যাংকের সর্বশেষ ষ্টেটমেন্ট! তখনও হয়ত ভালো করে সাঁজানো হয়নি বাড়ীর আঙ্গিনা! স্ত্রীকে দেয়া হয়নি লেটেষ্ট মডেলের গহনা, মেয়ের জামাইকে দেয়া হয়নি প্রতিশ্র“তী মত বাড়ী করে, ছেলের দেয়া হলোনা বিয়ে! সবই অপূর্ণ রয়ে গেল! সবেতো একটু গুছিয়ে নেবার ভাবনা চলছিল, আর এরই মধ্যে সব তাহলে শেষ হতে চলল কি? এই অসময়ে?

হ্যাঁ, এরকম অসময়েই আসে সেই অনাহুত অতিথি! নিয়ে যায় জোর করেই জীবন ব্যাপি এত ব্যস্ততার, এত লেন দেন আর দেনা পাওনার ফাইনাল অডিটের জন্য! এতকিছু অসম্পূর্ণ রেখে কি ফাইনাল অডিটের জন্য হাঁসিমুখে রওয়ানা দেয়া যায় ? যায়না। অতএব, এতসব প্রিয় বস্তু ছেড়ে যাওয়া আর ওপারের ফাইনাল হিসেবে নিশ্চিত ফেল মারার সুনিশ্চিত আশংকায় শেষ মহুর্তেও কাঁদতে কাঁদতেই রওয়ানা দিতে হয়!

কিন্তু এ জীবনতো একজন মুসলমানের হতে পারে না। একজন মুসলমান আর সকল মানব সন্তানের মতই কাঁদতে কাঁদতে এই বিশ্বে আসেন বটে, কিন্তু এ বিশ্ব ছেড়ে যাবার সময় যান পরম প্রশান্তিতে, হাঁসতে হাঁসতে। তবে তিনি কাঁদিয়ে যান ভুবনকে। তার বিয়োগ ব্যথ্যায় মানুষ কাঁদে। ইতোপুর্বে উল্লেখকৃত কবিতার সেই দ্বিতীয় চরণের মত।

আমরা যাঁর অনুসারী, যাঁর নিখাঁদ অনুসরণের মাঝেই আছে বিশ্বমানবতার সাফল্য ও মুক্তি, সেই প্রিয় হাবীব, মুহাম্মদ (স:) পরম নিশ্চিন্তে চলে গেছেন, শেষ মহুর্তে বলে উঠেছিলেন আমি আমার পরম বন্ধুর সাথে মিলিত হতে চাই। আহা কি ব্যগ্রতা! কি ব্যকুলতা! তাঁর হাতে গড়া সম্মানীত সাহাবা (রা:) গণও এবং তাঁদের নিষ্ঠাবান অনুসারীরাও সেই একই রকম ভাবে গেছেন।

মনূষ্য জীবনে তাঁরাও কেঁদেছেন, এতিম বালক মুহাম্মদ(স:) তাঁর বাবা, তাঁর মা’র কথা মনে করে কেঁদেছেন,’ প্রৌঢ় বয়সেও আমাদের মা খাদিজা (রা:) এঁর কথা মনে হলে তাঁর চোখ মোবারক ভিজে গেছে! প্রিয় পুত্রের মৃত্যুতে তিনি কেঁদেছেন। তাঁর সাহাবীরাও জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে, সুখে, উল্লাসে কেঁদেছেন।

আমাদের মতই হাঁসি-কান্না, সুখ-দু:খ, আবেগে-উল্লাসে তাঁরাও কেঁদেছেন। কিন্তু এ বিশ্ব ছেড়ে অনাহুত অতিথির ডাকে সাড়া দিয়ে যাবার সময় তাঁরা প্রশান্তির সাথে হাঁসতে হাঁসতে গেছেন। এভাবে যেতে পারাটাই হলো একটি সফল জীবনের প্রতিক, একটি সফল জীবনের মডেল। জীবনের এরকম প্রশান্তিদায়ক পরিসমাপ্তিই একজন মুসলমানের চাওয়া হওয়া উচিৎ, তাঁর সকল প্রচেষ্টাই হওয়া উচিৎ এটিকে পাওয়ার জন্য, ইসলামের পরীভাষায় এটিকেই আমরা বলি ‘খাতেমা বিল খাইর’। এই পাওয়াটাই তাঁকে অফুরন্ত পাবার পথ করে দেবে।

এই অফুরন্ত পাবার পথই তাঁরা পেয়েছেন এই বিশ্বে কেঁদে কেঁদে। তবে তাঁদের এই কান্নাটা ছিল একটু ব্যতিক্রমধর্মী কান্না। তাঁরা আল্লাহর ভয়ে রাতে জায়নামাজে একা একা কাঁদতেন, তাঁদের ভুল ভ্রান্তির কথা, তাঁদের পাপের কথা মনে করে আল্লাহর দরবারে কাঁদতেন, কাঁদতে কাঁদতে বিনীদ্র রাত কাটিয়ে দিতেন! এই কান্নাই তাঁদেরকে জীবনের শেষ মহুর্তে হাঁসিমুখে যাবার পথ করে দিয়েছে।

আজ আমরাও যদি ওরকম সফল জীবন চাই, তাহলে আমাদেরকেও রাতের আঁধারে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে মহান রবের শাহী দরবারে কাঁদতে হবে, যিনি তাঁর অনুতপ্ত বান্দাহ্র রাতজাগা চোখ হতে একফোটা অশ্রু গড়িয়ে মাটিতে পড়ার আগেই বান্দাহ্র সকল গুনাহ মাফ করে দেন!

সেই রহমানের দরবারে আসুন কাঁদি, আমাদের মনের সকল আবেগ আর আকুতি জানিয়ে কাঁদি। আসুন আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ সুবিধানুযায়ী অন্ততপক্ষে সপ্তাহের একটি রাত জাগি, শুধু মাত্র তাঁরই জন্য, তাঁর কাছে কাঁদার জন্য, কেঁদে কেঁদে বুকটা হাল্কা করার জন্য। হায়! আজ দু:খ হয়, বড় আক্ষেপে বলে উঠতে ইচ্ছে করে ‘কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না রাতের প্রহর গুলো-’

Related Post