মুসলিম সমাজের কমন শিরক ও বিদাআত

imagesCA5M0NPI

 শেষ পাঠ

পূর্বে প্রকাশিতের পর

শিরক যা আমরা প্রায় করে থাকি কিন্তু জানি না এইগুলো শিরক !

শিরক ২ প্রকার আকবর শিরক(বড়),আসগর শিরক(ছোট)

১। – কাজলের কালো ফোঁটা শিরক

বাচ্চাদের কপালে কাজলের কালো ফোঁটা দেওয়া হয়,যাতে বদ নজর যেন না লাগে এইটা শিরক।কে রক্ষা করবে বদ নজর থেকে কাজলের কালো ফোঁটা ? (সুরা নাস,ফালাক)

২। তাবিজ শিরক

হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন তোমরা ধংসাত্নক কাজ থেকে বেচে থাক তা হলো আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা ও যাদু করা।

মেশকাত শরীফ-৪৩৫৭ নং হাদিস -ঈসা বিন হামযা রা বলেন -একদা আমি উকাইমের নিকট গেলাম , তার শরীরে লাল ফোসকা পড়েছে আমি বললাম আপনি তাবিজ ব্যবহার করবেন না?তিনি বললেন , তা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই ।কেননা নবী সাঃ বলেছেন যে এই গুলো ব্যবহার করে তাকে তার প্রতি সর্পদ করে দেওয়া হয়।

আর যারা বলেন – আমার তাবিজে তো আল্লাহর কালাম লেখা অথচ তা নিয়ে আপনি বাথরুমে যাচ্ছেন ,যদি আপনাকে বলি আপনি কোরআন নিয়ে বাথরুমে যানতো, তা কি আপনি পারবেন?অথচ আপনি আল্লাহর কালাম কে অসন্মান করছেন ।আর তাবিজ যারা ব্যবহার করে তারা শিরকে লিপ্ত হয় এক না এক সময় তাবিজের উপর বিশ্বাস স্হাপন করে।

৩।- পীর ধরা শিরক।

৪। – Darwin’s Theory বিশ্বাস করা শিরক।

৫ । -Money is 2nd god মনে করা বা বলা কথার মাধ্যমে শিরক।

৬ ।- বন্যা বা ঝড় বা মহা প্লাবন প্রাকৃতিক কারনে হয় মনে করা বা বলা শিরক।

৭। জান্নাতে যাওয়ার জন্য উছিলা শিরিক।

উঃ – উছিলা ছাড়া জান্নাতে যাওয়া যাবে না মনে করা বা বিশ্বাস করা শিরিক।আপনি যদি দোয়ার মাধ্যমে বলেন হে আল্লাহ আপনি আমাকে নবী সাঃ এর উছিলায় মাফ করে দেন তাও শিরিক।

৮ ।- গেম খেলার মাধ্যমে শিরিক

উঃ – online game খেলার মধ্য Demi God , God Like , Beyond God Like শিরিক।মানে মানুষ রা কথার মাধ্যমে শিরিক করে।

৯ । জ্ঞানগত শিরকঃ

•        রাসুল সাঃ গায়েব সম্পর্কে জানতেন বলে বিশ্বাস করা।

•        ভাগ্য সম্পর্কে জানার জন্য ফকির বা জ্যোতির্বিদদের নিকট গমন করা এবং তাদের কথা বিশ্বাস করা।

•        জিন বা জিন সাধক রা গায়েব সম্পর্কে জানতে পারে বলে বিশ্বাস করা।

•        পাখি ,বানর ইত্যাদির মাধ্যমে ভাগ্য জানার চেষ্ঠা করা ।

•        আল্লাহর ওলি-আওলিয়া ও পীর সাহেব গায়েব জানেন বলে বিশ্বাস করা।

১০ । পরিচালনা গত শিরিকঃ

•        বিপদ মুক্তির জন্য দুরুদ বা খতমে নবী পাঠ করা।

•        রাসুল সাঃ এর প্রশংসা বর্ণনা করে তাকে আল্লাহর অবতারে পরিনত করা।

•        ওলি-আওলিয়ারা পৃথিবী পরিচালনা করেন বলে বিশ্বাস করা।

•        কবরে পীররা হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে বিশ্বাস করা।

•        কোন পীর কে দস্তগীর (আল্লাহর হাত পাকরাওকারী )নামে অভিহত করা

•        রাষ্টীয় ক্ষমতা প্রাপ্তির ক্ষেএে দেশের জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস মনে করা।

•        আওলিয়াদের কবরের মাটি,আশেপাশের গাছ বা পানি বা জীব জন্তুর দ্বারা উপকার সাধিত হয় বলে বিশ্বাস করা।

•        মানব রচিত বিধান ও আইন দ্বারা দেশ শাসন ও বিচার কার্য পরিচালনা করা।

•        জিনের অনিষ্ট থেকে বাচার জন্য জিনকে শিরনী দান করা।

•        ভাগ্য পরিবর্তনের ক্ষেএে পাথরের প্রভাবকে বিশ্বাস করা।

•        তারকারাজির ও গ্রহের প্রভাবকে বিশ্বাস করা।

১১। উপসনাগত শিরিকঃ

•        আল্লাহর নামের সাথে যিকিরের সাথে রাসুল সাঃ এর নামের যিকির করা। যেমন – ইয়া রাসুল্লাহ,ইয়া রাহামাতাল্লিল আলামিন, ইয়া নবী, নুরে রাসুল, নুরে খোদা ইত্যাদি।

•        কবর মুখী হয়ে বা কবরের পাশে সালাত আদায় করা।

•        দ্রুত দোয়া কবুল হবার আশায় মুরশিদ বা পীর এর বৈঠকখানার দিকে মুখ করে দুয়া করা।

•        ওলি-আওলিয়াদের নিকট কিছু কামনা করা।

•        আওলিয়াদেরকে সাহায্য এর জন্য আহবান করা।

•        আওলিয়াদের কবরের পাশে দাড়িয়ে বিনয় প্রকাশ করা।

•        কবর,মাজার,,দরবার,মুকামে মানত করা।

•        কবরের চারপাশে প্রদক্ষিন করা।

•        কবরকে সামনে রেখে রুকু বা সিজদা করা।

•        গাইরুল্লাহর নামে কবর,মাজার বা অন্য কোথাও পুশু জবাই দেওয়া।

•        আল্লাহর ন্যায় পীর কে ভালবাসা।

•        অন্তরে ওলি-আওলিয়া বা পীরদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের গোপন ভয় করা।

•        আল্লাহ ব্যতীত অন্যর উপর ভরশা করা।

•        আল্লাহ বা রাসুল ব্যতীত অন্য কোন মত বা পথের অন্ধ আনুগত্য বা অনুকরন বা অনুসরন করা।

•        পীরের নিকট রহমত ও করুনা কামনা করা।

১২ । অভ্যাসগত শিরিক

•        রোগ নিরাময়ের জন্য ধাতব দ্রব্য দ্বারা তৈরী আংটি বা বালা পরিধান করা।

•        সর্ব অবস্হায় তাবিজ শিরিক।

•        আগুন,রক্ত,সন্তান ,মাটি ইত্যাদির নামে বা তাতে হাত রেখে শপথ গ্রহন করা বা কসম করা।

•        কপালে টাকা স্পর্শ করে তা সম্মান করা।’

সমাপ্ত

 

Related Post